কলকাতা: এক মঞ্চে হাজির থাকবেন তিন নেতা। চেষ্টা করেছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু চেষ্টার অবশ্য ফল মিলল না। শনিবেলায় সূর্য সেন স্ট্রিটের মিত্র ইনস্টিটিউশনে বিজয়া সম্মেলনী আয়োজন করেছিল ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। মূলত কাউন্সিলর সোমা চৌধুরীর উদ্যোগে। এলেন মদন মিত্র ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এলেন না তাপস রায়। এদিকে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) সঙ্গে বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapash Roy) সংঘাত নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারপরেও শেষ হয়নি তাঁদের ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধ’।
তবে এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগেই চলে এসেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন। কিছুক্ষণ কাটিয়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। মিনিট চল্লিশ পরে এলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা জেলা সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আসেননি বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনজনের সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে চর্চা রয়েছে। তা কাটতে পারে, আশায় ছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু শনিবেলাতেও শীতলতা অব্যহত। উষ্ণতা পেল না সুদীপের সঙ্গে তাপস-মদনের (Tapash-Madan Relation) সম্পর্ক।
এদিকে দুর্গাপুজোর সময় থেকে সুদীপ-তাপস সংঘাত নিয়ে তরজা শুরু হয়েছিল। তারপর কেটেছে কালীপুজো, শেষ হল জগদ্ধাত্রী পুজোও। কিন্তু, তারপরেও দলের দুই বর্ষীয়ান নেতার আকচাআকচি থামছেই না। তবে তাপস যে কোনওভাবেই সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ চান না তা আগেও সরাসরিই জানিয়েছিলেন তিনি। তাপস বলেন, “ওনার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনও প্রশ্নও নেই। না দেখা হলেই ভাল। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রশ্নই নেই। আমার মা মারা গিয়েছেন একবার স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ ফোন বা মেসেজ করে খবর নেননি। তাঁদের সঙ্গে কিসের সৌজন্যতা। আমি দলটা করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। এখন দলের উঠতি নেতা ছাত্র যুবর আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি মনে করি আমরা যারা বয়জ্যেষ্ঠ তাঁদের নতুন প্রজন্মের প্রতি ভরসা করা উচিত। অভিষেকের উপর ভরসা করা উচিত।”
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা পুজোর সময় বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেন তাপস। যেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তবে এর আগে তাপসের হয়ে ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছিল মদনকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “নিজের জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেছেন তাপস রায়। তাপস রায় বলে রাজনীতি করেছেন, অন্য কেউ হলে ইউক্রেনে গিয়ে আশ্রয় নিতেন। যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে এক কুকুর গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি দেখেন দুজন গিয়েছেন, তাহলে একজন মদন মিত্র ও অপরজন তাপস রায়।”