কলকাতা: বিভিন্ন অনুষ্ঠানমঞ্চ, সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শাসকদলের নেতা, কর্মীদের বলতে শোনা যায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের বকেয়া টাকা অনেক। একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা রাজ্য পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। শনিবার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের এক প্রশ্নের জবাবে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্র যথেষ্ট দিয়েছে। কোল ব্লকের একটা বড় টাকা পেয়েছে আইনি জটিলতা কাটিয়ে। প্রথম থেকে সরকারের তো এই অবস্থা ছিল না। পরিকল্পনার অভাব, হিসাব বহির্ভূত ব্যয়, রাজ্যে শিল্পায়নের সম্ভাবনাকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।”
শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “যখন এই সরকার ক্ষমতায় আসে তখন ১৪ ফিনান্স কমিশনের প্রস্তাবকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ৪২ শতাংশ রাজ্যে শেয়ার করে দিয়েছে। ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি এই সরকার পেয়েছে। এই সরকার প্রথমে এদের রোজগার বাড়িয়েছিল। এই সরকার কোল ব্লকের অনেক টাকা পায়। কারণ কোল ব্লক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সমস্ত কনট্রাক্ট বাতিল করে আবার সেগুলো নিলাম হয়। যে রাজ্যের যেখানে ব্লক আছে তারা সে টাকা পায়। অর্থনৈতিকভাবে সরকার শুরুতে খুব একটা খারাপ অবস্থায় ছিল না। নিঃসন্দেহ ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা দেনা ছিল। মেটানোর তাগিদ ছিল। তবে ২০১১ সালের মে মাসে এ রাজ্য সরকারের যে অবস্থা ছিল এখন তা নয়। পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়ই এই অবস্থায় নিয়ে এল।”
শমীকের বক্তব্য, “একটা রাজ্যে বড় কারখানা বন্ধ করে দেওয়াটা কোনও সরকার যদি নিজের সাফল্য বলে মনে করে তাহলে কী বার্তা যেতে পারে দেশের ও দেশের বাইরের বিনিয়োগকারীদের কাছে? গত এক বছরের বিনিয়োগ দেখুন। এক স্টিল ফ্যাক্টরির মালিক ওড়িশায় একটা পরিকল্পনা নিয়েছেন। আবার ছত্তিসগঢ়ে নিচ্ছেন। একটা বাঙালি সংস্থা বালেশ্বরে জমি নিয়েছে, প্ল্যান্ট তৈরি হবে। অসমে নিতে চলেছে। পুণে, গোয়ায় ফ্যাক্টরি তৈরি হচ্ছে। যে শিল্পপতিই মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে, তারা কিন্তু রাতের অন্ধকারে এই বিনিয়োগ করছেন। বাংলার শিল্পপতি, যাঁরা বাংলার মাটিতে পুঁজি তৈরি করেছেন, তাঁরা বিনিয়োগ করছেন ওখানে।”