KMC on Haridevpur Electrocution: টনক নড়ল প্রশাসনের, পরীক্ষা করা হবে ত্রিফলা, প্রয়োজনে খোলা হবে এলইডি
Kolkata: তারক সিং বলেন, "মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেকটা পোলকে টেস্টার দিয়ে চেক করতে হবে। সিইএসসি-র যা যা সামগ্রী রাস্তার উপর রয়েছে, সেগুলিকে সরাতে হবে।"
কলকাতা : হরিদেবপুরের মর্মান্তিক ঘটনার পর সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেছিল কলকাতা পুরনিগম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন তারক সিং এবং বিনোদ কুমাররা। বৈঠক শেষে তারক সিং জানান,থার্ড পার্টি ইন্সপেকশন করা হচ্ছে। সিইএসসি / কর্পোরেশনের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, স্থানীয় থানার ওসি, সরকারি তরফে ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে তদারকি চলছে। যে দোষী, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তারক সিং। বলেন, “জলে অতটা সে হেঁটে গেল, তার মানে জলে ছিল না বিদ্যুৎ।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেকটা পোলকে টেস্টার দিয়ে চেক করতে হবে। সিইএসসি-র যা যা সামগ্রী রাস্তার উপর রয়েছে, সেগুলিকে সরাতে হবে।”
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বস্তি এলাকাগুলিতে যে যে জায়গায় অগোছালো তার আছে, ওগুলিও সরাতে হবে বলে জানিয়েছেন তারক সিং। বৈঠক শেষে তারক সিং বলেন, “শহর জুড়ে সমস্ত ত্রিফলা আলোর পোষ্টগুলিকে চেক করে দেখে প্রয়োজনে জড়ানো এলইডি খুলতে হবে। ইতিমধ্যেই মেয়রের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ বলে আসে না, দুষ্টু লোকেরও অভাব নেই।”
উল্লেখ্য, রবিবারই হরিদেবপুরের ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। মাত্র ১২ বছরেই প্রাণ হারায় ওই কিশোর। বারবার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল প্রশাসনের দিকে। অভিযোগ উঠছিল প্রশাসনের চরম গাফিলতির। এদিকে ওই ঘটনার পরপরই এলাকার বিভিন্ন পোস্টগুলি থেকে বিপজ্জনকভাবে জড়িয়ে থাকা তারগুলি সরানোর জন্য তৎপরতা দেখা যায় সিইএসসি এবং কলকাতা পুরনিগমের মধ্যে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই কলকাতার পুর কমিশনারকে হরিদেবপুরের কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়রের বক্তব্য ছিল, বর্ষার আগেই বিপজ্জনকভাবে থাকা তারগুলি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কীভাবে এই দুর্ঘটনা, তার প্রকৃত সত্য উঠে আসবে বলেই আশ্বস্ত করেছিলেন মেয়র।