কলকাতা: নতুন করে বিতর্কে সন্দেশখালি। একের পর এক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। যদিও সেই ভিডিয়ো ক্লিপগুলির সত্য়তা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। আর সেটা হাতিয়ার করেই তৃণমূল জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে এই সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি দুটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। প্রথম সম্ভাবনা, যেটি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন। অর্থাৎ, তাঁর কণ্ঠস্বর উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নকল করা হয়েছে। দ্বিতীয় সম্ভাবনা, বিস্ফোরক। তথাগতবাবুর সন্দেহ, যদি প্রথমটি না হয়, তাহলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে ‘কিনে’ নিয়ে থাকতে পারে তৃণমূল।
সন্দেশখালির যে ভাইরাল ভিডিয়োকে স্টিং অপারেশন বলে দাবি করছে ঘাসফুল শিবির, সেটিকে স্টিং অপারেশন হিসেবে দেখতেই রাজি নন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “গঙ্গাধর কয়াল তো বলছেন না এটি স্টিং অপারেশন। তিনি বলছেন, তাঁর গলাকে নকল করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তৃণমূলই বলছে এটা স্টিং অপারেশন।” এরপরই তথাগত রায়ের সংযোজন, “যদি এটা স্টিং অপারেশন হয়েও থাকে, গঙ্গাধর কয়াল কি রাজ্য সভাপতি? রাজ্যের কোনও পদাধিকারী বা জেলা সভাপতি? গঙ্গাধর কয়াল একজন মণ্ডল সভাপতি। একজন মণ্ডল সভাপতিকে কিনতে কত টাকা লাগে! তৃণমূলের তো লরি লরি টাকা আছে। তার একটা ছোট্ট অংশ পার্থর রক্ষিতার বাড়িতে দেখা গিয়েছে।”
টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, একজন মণ্ডল সভাপতিকে কেনা ‘কয়েক লাখ টাকার ব্যাপার’। সেক্ষেত্রে তাঁর মতে, হয় গঙ্গাধর কয়াল সঠিক অভিযোগ তুলছেন যে, তাঁর গলা নকল করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে। অন্যথায় তাঁকে কিনে নেওয়া হতে পারে বলে সন্দেহ তথাগত রায়ের। তবে লোকসভা ভোটে তৃণমূল এসব করে কোনও ফায়দা তুলতে পারবে না বলেই মনে করছেন তিনি। বললেন, “যদি তৃণমূল প্রাণপণ চেষ্টা করে এটা বোঝাতে চায় যে, শাহজাহান একজন মহাত্মা, একজন সমাজসেবী… শাহজাহান বলতে ওখানকার লোকজন গলে গলে পড়ছেন… এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে? শাহজাহানকে মহাত্মা প্রমাণ করতে পারবে না। শাহজাহান ডাকাত, চুরি করেছে… এটা মানুষের চোখে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। শাহজাহান যে মূর্তিমান শয়তান, সেটা গোটা পৃথিবী জেনে গিয়েছে।”