কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা ‘শয়তানির চেষ্টা হলেও হতে পারে’, ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর এমনই মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় একটুর জন্য রক্ষা পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কনভয়ে থাকা তাঁর গাড়ির ঠিক পিছনের গাড়িটিতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সেই গাড়ির ছবি রিটুইট করে তথাগত রায় দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শুভেন্দুকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বিধায়কের কনভয়ের এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগের একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে একই গাড়িতে যাওয়ার সময় কী ঘটেছিল, সেটাই লিখেছেন টুইটে।
শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই একটি টুইট করে দুর্ঘটনার কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি, কেউ আহত হননি। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার তথাগত টুইটে দাবি করেছেন, এটা একটা শয়তানির চেষ্টা হলেও হতে পারে। তবে তাঁর মতে, ‘চলন্ত গাড়ি দিয়ে চলন্ত গাড়িকে তাক করে মারা সহজ কাজ নয়।’ নিশানা ব্যর্থও হতে পারে। শুভেন্দুকে সাবধানে থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিজেপি নেতার দাবি, গোটা রাজ্য পরিত্রাণের জন্য শুভেন্দুর দিকেই তাকিয়ে আছেন।
শুভেন্দুর দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ২০০৩ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তথাগত। সে বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সেরে হুগলি থেকে ফেরার সময় একই গাড়িতে ছিলেন তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও খন্দকার মুস্তাক আহমেদ। আচমকা সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের গাড়ি পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। ঘটনার পরই নাকি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলে উঠেছিলেন, ‘নিশ্চয় আমাদের ঠেলে ফেলে দেওয়ার মতলব ছিল।’ প্রথমে বাজপেয়ী ও পরে আদবানিকে ফোন করতেও বলেছিলেন তিনি।
তথাগত লিখেছেন, ‘দুটো গাড়ি কিন্তু ধাক্কা লাগার ধারেকাছেও আসেনি। তারপর উনিশ বছর কেটে গিয়েছে। খন্দকার কবরে শুয়ে কেয়ামতের অপেক্ষায়। কেবল পিছনের সিটে বসা ব্যক্তিটি এখনও জীবিত। সেটি শ্রী আমি।’ তবে এই প্রসঙ্গ কেন টেনে আনলেন, সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তথাগত রায়।
শুভেন্দুর কনভয়ের দুর্ঘটনায় তথাগত যখন ষড়যন্ত্রের দাবি তুলেছেন, তখন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কুণাল ঘোষ মনে করালেন উত্তর প্রদেশ থেকে ফেরার সময় কী ঘটেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মমতার বিমান হু হু করে নামতে শুরু করেছিল। এ দিন তথাগত-র টুইট প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উনি না জেনে সস্তার রাজনীতি করছেন। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটা যে নেমে এসেছিল, সে ক্ষেত্রে তো বলতে হয়, বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিল।’