Teacher Recruitment Scam: OMR শিটে ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’! যোগ্যরা হয়ে যাচ্ছেন অযোগ্য, এবার মাদ্রাসায় দুর্নীতির খোঁজ

সুমন মহাপাত্র | Edited By: Avra Chattopadhyay

Mar 31, 2025 | 1:00 PM

Teacher Recruitment Scam: অভিযোগ উঠছে, মাদ্রাসা নিয়োগে 'যোগ্য' প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে 'অযোগ্যদের' ঠাঁই দিচ্ছেন একাংশের পরীক্ষকরা। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা CFSL।

Teacher Recruitment Scam: OMR শিটে ব্ল্যাক ম্যাজিক! যোগ্যরা হয়ে যাচ্ছেন অযোগ্য, এবার মাদ্রাসায় দুর্নীতির খোঁজ
ওএমআরে দুর্নীতি
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: মাদ্রাসায় ‘যোগ্য’ নিয়োগ আটকাতে OMR শিটে কারচুপি অভিযোগ। CFSL-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার জেরে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। TV9 বাংলার হাতে উঠে এল এক্সক্লুসিভ তথ্য।

ঠিক কী ঘটেছে?

অভিযোগ উঠছে, মাদ্রাসা নিয়োগে ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে ‘অযোগ্যদের’ ঠাঁই দিচ্ছেন একাংশের পরীক্ষকরা। ইতিমধ্যে আদালতে এই প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা CFSL।

কী রয়েছে সেই রিপোর্টে?

সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে একজন যোগ্য় প্রার্থীকে রাতারাতি অযোগ্য করে দিয়েছেন মাদ্রাসার একাংশের পরীক্ষকরা। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার্থী OMR শিটে দাগিয়েছিলেন একটি নির্দিষ্ট প্রদ্যত্ত অপশনে। কিন্তু পরীক্ষার্থীর নম্বর কমানোর জন্য পরবর্তীতে সেই একই সেটের অন্য একটি অপশনে কালির দাগ জুড়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই OMR স্ক্য়ানের সময় কম্পিউটার নিজে থেকেই পরীক্ষার্থীর সেই প্রশ্ন ভুল বলে দাগিয়ে নেগেটিভ মার্কিং করে।

যোগ্য প্রার্থীদের অযোগ্য বানাচ্ছে কারা? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মাদ্রাসা কমিশন। এক পরীক্ষার্থীর কমিশনে জমা দেওয়া চিঠিতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীর দাবি করছেন, ‘আমি অপশন ‘বি’তে দাগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে কীভাবে অপশন সি-তে দাগ এল? আপনারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরণের কাজ করেছেন।’

উল্লেখ্য, এই একই রকমের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও। ওএমআর (OMR) দুর্নীতির অভিযোগে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। সেই বারেও দেখা গিয়েছিল, OMR স্ক্যানের পালাতেই ‘যোগ্য’ প্রার্থী কীভাবে ‘অযোগ্য’ হয়ে উঠছেন। সেই নিয়ে মামলা এখনও ঝুলে আদালতে। আর তা নিষ্পত্তির আগেই এবার কাঠগড়ায় দাঁড়াল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। তবে কি টাকার বিনিময়ে সেখানেও শুরু হয়েছে দেদারে নিয়োগ?

Next Article