কলকাতা: মান বাঁচাতে যৌথভাবে এসএসসি (SSC)-সিবিআইয়ের দ্বারস্থ আন্দোলনকারী ও চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ৯৫২ জনের যে তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। নাম ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, যাঁরা দাবি করছেন তাঁরা যোগ্য। তাঁরা বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিহাসে প্রশ্ন ভুল মামলায় ১ নম্বর করে বেড়েছিল। ফলে ওএমআর শিটে যা দেখা যাচ্ছে তার থেকে ১ নম্বর বেশি পেয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। এই বিভ্রান্তির ফলেই তাঁদের নাম চলে এসেছে ওএমআর শিট বিকৃতির তালিকায়। এমনই দাবি নিজাম প্যালেসে আসা আন্দোলনকারী ও চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের।
যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, অথচ এই তালিকায় নাম উঠে এসেছে, তাঁরা এখন সমাজে বিভিন্ন মহলে খোঁচা খাচ্ছেন। বলছেন, “আমরা নিজেদের এলাকায় হোক বা নিজেদের স্কুলে সব জায়গা মেন্টালি হ্যারাস হচ্ছি। কেন স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ৯৫২ জনের তালিকায় আমাদের নাম ঢোকাল? আমাদের নাম এই তালিকায় ঢোকার কথা নয়। আদালতের নির্দেশেই আমাদের এক নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটিতে রিমার্ক হিসেবে উল্লেখ করেছে কোর্ট অর্ডারের কারণে নম্বর বাড়ার বিষয়টি। কিন্তু তবুও এই তালিকায় আমাদের নাম থাকার কথা নয়।” চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বক্তব্য, তাঁরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। তাই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে এসেছেন তাঁরা।
এদিন নিজাম প্যালেসে যেমন এসেছেন চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা, তেমনই ছুটে এসেছেন আন্দোলনকারীরাও। তাঁরা বলছেন, “আমরা সিবিআইয়ের কাছে একটি আবেদন দিতে এসেছি। আমরা যোগ্য প্রার্থী। হাইকোর্টের নির্দেশে আমাদের এক নম্বর বেড়েছিল। তারপরও কেন আমাদের ১৫ জনকে ওই তালিকায় রাখা হল? ইতিহাসের প্রশ্ন ভুলের মামলায় ইতিমধ্যেই অনেকে সুপারিশ পেয়েছেন এবং নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁরা যখন নিয়োগ পাচ্ছেন, তাহলে আমাদের নাম কেন এই তালিকায়? আমরা এই বিষয়টি আগামী সোমবার আদালতকে জানাব।” যদিও কমিশনের তরফে প্রকাশিত ওই তালিকায় রিমার্কস হিসেবে আদালতের নির্দেশের কথা উল্লেখ রয়েছে।