কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন সুব্রত বক্সি। তৃণমূল ভবনে সভাপতির ঘরে হল বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন দলের প্রবীণ নেতারা। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সৈনিক অরূপ বিশ্বাসও। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে দলের সমাবেশ হয়েছিল। ওই দিনের বৈঠকে পোস্টারে ছিল শুধু মমতার ছবি। সেই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছিল। কেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি নেই সেই প্রশ্ন উঠেছিল।
অনেকে এবারের একুশে প্রস্তুতি ঘিরে সেই একই সময়ের ছায়া দেখছেন তৃণমূলের অন্দরে। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় শেষ মুহূর্তে ভিডিয়ো বার্তা দিতে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত অভিষেক। এখনও চিকিৎসার জন্য বিরতিতে আছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন অভিষেক। দলের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে দলের কাজ ও কর্মসূচির দায়িত্ব তুলে নেন কাঁধে। তারপর ২০২২ এবং ২০২৩ সালে একুশে জুলাইয়ের যাবতীয় প্রস্তুতিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিট দফতর। স্যোশাল মিডিয়ায় নানা টিজার, প্রচার মেটেলিয়াল ভাইরাল হয়েছিল একুশে জুলাইকে ঘিরে।
তবে এ বছর তেমন কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না ক্যামাক স্ট্রিট দফতরকে। অন্যদিকে সুপার অ্যাকটিভ দলের প্রবীণ নেতা সুব্রত বক্সি। একুশের প্রস্তুতি হিসাবে জেলায় জেলায় মিটিং করছেন এই প্রবীণ নেতা । একুশের প্রস্তুতি হিসাবে বিগত বছর গুলিতে অভিষেকের দফতরের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটরের নির্দেশ যেত জেলায় জেলায়। তবে এ বছর তেমন সাড়া শব্দ নেই বলেই জানা যাচ্ছে। বিগত বছরে অভিষেক করেছিলেন জুম বৈঠক। ছিলেন নেতারা। একুশকে সফল করতে জেলায় জেলায় কোন কোন নেতা যাবেন প্রস্তুতি বৈঠকে তারও একটা তালিকা মোটের ওপর তৈরি করেছিল ক্যমক স্ট্রিট।
কিন্তু, এ বছর এই সব কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বরং সভা স্থল পরিদর্শন থেকে বৈঠক, সর্বত্রই টিম বক্সির উপস্থিতি এবং সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। ক্যমক স্ট্রিটের বদলে ব্যানার লাগাবার নির্দেশ দিচ্ছেন ফিরহাদ হাকিমের মতো সিনিয়র নেতারা। মহিলাদের প্রচার করার নির্দেশ দিচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোজা কথায় বিগত বছরগুলির সঙ্গে এবার বহু অমিল লক্ষ্য করছে রজনৈতিক মহল। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বড় জয়ের পর হঠাৎ এই বদলের ছবি যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।