কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board) সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও নাখুশ চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার দুপুর থেকে সল্টলেকে করুনাময়ী চত্বরে কাতারে কাতারে ভিড় করেছিলেন ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ অপেক্ষমান প্রার্থীরা। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে যেমন তাঁদের অভিযোগ ছিল, এবার তাঁদের অভিযোগ বর্তমান সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধেও। সম্প্রতি টেটের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদেরও ইন্টারভিউতে বসতে হবে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা ইতিমধ্যেই দুই দফা ইন্টারভিউ দিয়ে ফেলেছেন। তাহলে কেন আবার ইন্টারভিউ? সেই প্রশ্ন তুলেই করুনাময়ী চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। আন্দোলনকারীদের চারজন প্রতিনিধিকে শেষ পর্যন্ত ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও কোনও ভরসা পাচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। এখনও আশ্বস্ত হতে পারছেন না তাঁরা। সারারাত ধরে অবস্থান চলবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এখনও তাঁর অফিসেই রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি যখন বেরোবেন, সেই সময় গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় আটক রয়েছেন প্রায় ৬০ জন নিয়োগপ্রার্থী। তাঁদের সঙ্গেও পুলিশ অমানবিকতা করছে বলে অভিযোগ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। এমনকী তাঁদের জল পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আন্দোলন না তুললে জল খেতে দেওয়া হবে না বলে অভিযোগ করছেন নিয়োগপ্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা সল্টলেক করুণাময়ীর সামনে তাঁদের প্রতিবাদ অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী দুপুরে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। এক অসুস্থ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশকর্মীরা জল এগিয়ে দিচ্ছেন, এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। তবে নিজেদের দাবিতে অনঢ় আন্দোলনকারীরা। পুলিশও পুরোদমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করুনাময়ী চত্বর থেকে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তোলা যায়।