কলকাতা: অবশেষে টেট পাশ সার্টিফিকেট (TET Certificate) নিয়ে জটিলতা কাটতে চলছে। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার সার্টিফিকেট এতদিন ধরে মিলছিল না। সেই নিয়ে সমস্যাতেও পড়তে হচ্ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ১১ হাজার পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রয়েছে ১৪ নভেম্বর। তার আগেই শেষ পর্যন্ত টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা সার্টিফিকেট পেতে চলেছেন। ৭ বছর পর সার্টিফিকেট পেতে চলেছেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। এই সপ্তাহের মধ্যেই নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
শুধু ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই নন, ২০১৭ সালের টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদেরও দ্রুত প্রাপ্ত নম্বর জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আইনি পরামর্শ নিয়েই এই প্রাপ্ত নম্বর জানানো হবে। প্রসঙ্গত, পর্ষদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করার আগেই নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকদফা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৪ সাল ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। ১ নভেম্বর পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেশ আশাবাদী ছিলেন আইনজীবীরা। সেই সময় তাঁরা বৈঠক সেরে বেরিয়ে বলেছিলেন, তাঁরা আশাবাদী। পর্ষদ সভাপতি সেই সময়েই তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন খুব দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এতদিন ধরে পাশ করার সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না। ফলে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তাঁরা। সবথেকে বড় সমস্যা ছিল, তাঁরা নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারছিলেন না। এদিকে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদনের শেষ দিন রয়েছে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এমন অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীরা যাতে টেট পাশ সার্টিফিকেট হাতে পান, সেই বিষয়টি নিয়ে মামলকারীদের আইনজীবীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।