TET CBI: বিকেল ৫টা ২৫, নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন প্রাথমিক পর্ষদের সভাপতি, সঙ্গে রত্না, টেট দুর্নীতিতে শুরু সিবিআই তদন্ত

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 13, 2022 | 11:49 PM

TET: সোমবার বিকেলে একটি হলুদ ট্যাক্সি এসে দাঁড়ায় নিজাম প্যালেসের সামনে। ট্যাক্সি থেকে নেমে আসেন প্রাথমিক বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।

TET CBI: বিকেল ৫টা ২৫, নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন প্রাথমিক পর্ষদের সভাপতি, সঙ্গে রত্না, টেট দুর্নীতিতে শুরু সিবিআই তদন্ত
নিজাম প্যালেসে মানিক ভট্টাচার্য, রত্না চক্রবর্তী।

Follow Us

কলকাতা: দুপুরেই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। টেট দুর্নীতিতে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যেই নিজাম প্যালেসে হাজির হতে হবে প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সেইমতোই বিকেল ঠিক ৫টা ২৫ মিনিটে নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন তাঁরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দেয়। এই ২৬৯ যাতে বেতন না পান, মঙ্গলবার থেকে কাজে যোগ দিতে না পারেন, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সোমবার বিকেলে একটি হলুদ ট্যাক্সি এসে দাঁড়ায় নিজাম প্যালেসের সামনে। ট্যাক্সি থেকে নেমে আসেন প্রাথমিক বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সাদা পাঞ্জাবি, সাদা প্যান্ট। মুখ ঢাকা সাদা মাস্কে। ট্যাক্সি থেকে নেমে হনহন করে নিজাম প্যালেসের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। তার আগেই নিজাম প্যালেসে ঢোকেন প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী। হলুদ শাড়ি, কালো ব্লাউজ। বাঁ দিকের কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ। নিজাম প্যালেসের ১৪ তলা দু’জনেরই গন্তব্য।

২০১৬ সালে যে টেট হয়েছিল, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন সেখানে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এই প্যানেলের এক বছর পর আবারও প্যানেল প্রকাশিত হয়। যে প্যানেল নিয়ে প্রাইমারি বোর্ডের যুক্তি ছিল, ১ নম্বর বাড়ানো হয়েছে উত্তরপত্রে। কারণ, হিসাবে দেখানো হয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পেয়েছেন ২৬৯ জন। আদালত জানতে চায়, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে কেন এই নম্বর দেওয়া হল? দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশের কারণ কী ছিল? নম্বর বাড়ানো, নতুন প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে কেন কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল না?

এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২৬৯ নয়, ২০১৭ সালের নিয়োগ হওয়া ১৬ হাজার ৫০০ জনের চাকরি বাতিল করতে হবে।” যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “এটা আদালতে বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে আমি কিছু বলব না।”

Next Article