কলকাতা: তৃতীয় ঢেউয়ের আগে রাজ্যে কোভিড পরিকাঠামোর কার্যকারিতা বুঝতে নতুন গবেষণা প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের অভিভাবকত্ব করবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড ডায়জেস্টিভ সায়েন্সেসে’র যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন নোবেলজয়ী বাঙালি।
শুক্রবার সোনারপুরে লিভার ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান মঞ্চে এ নিয়ে অভিজিৎবাবুর সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন সরকারি চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত দেড় বছরের বেশি সময়ে কোভিড চিকিৎসায় হাসপাতাল, সেফ হোম, টেলি মেডিসিন, অক্সিজেন কেন্দ্র-সহ একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেই সমস্ত পরিকাঠামোর কার্যকারিতা বুঝতে সরাসরি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের ফোনে মেসেজ পাঠানো হবে।
The biggest problem is that Centre is not capable of generating supply of vaccines for the country. If there were enough vaccines, these claims wouldn’t have arisen. We have not received the promised level of supply for the entire nation: Nobel laureate Abhijit Banerjee pic.twitter.com/xJzz7Wl88B
— ANI (@ANI) August 5, 2021
পাশাপাশি, আশা, এএনএম কর্মীদেরও পাঠানো হবে মেসেজ। কোন মাধ্যমে বার্তা পেয়ে সরকারি পরিকাঠামো সম্পর্কে মানুষ অবহিত হচ্ছেন তা দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি পরিষেবার আওতায় মানুষকে আনার প্রশ্নে পদক্ষেপে বদল প্রয়োজন কি না, তা-ও নতুন প্রকল্পে গবেষণার বিষয়বস্তু। অগস্টের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে খবর।
লিভার ফাউন্ডাশনের নতুন ভবন উদ্বোধন হল শুক্রবার। প্রকাশিত হল বিজ্ঞান বিষয়ক ডিজিটাল দৈনিক বিজ্ঞানভাষ। সেই অনুষ্ঠানেই ছিলেন নোবেলজয়ী। এদিন সার্বিক টিকাকরণ নিয়েও কথা বলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ভ্যাকসিনের সুফল কি সারা বিশ্ব সমান ভাবে পাচ্ছে? উত্তর না। পেলে, তৃতীয় বিশ্বের মানুষ খাবি খেত না। প্রথম বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত না। কেউ বলত না, সারা বিশ্বের মানুষের টিকাকরণে আরও বছর পাঁচেক সময় লাগবে। আরও পড়ুন: এই জিনিসগুলি না থাকলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না, জানাল নবান্ন