Kestopur Student Murder:কোটি টাকার SMS! নিখোঁজের ১৫ দিনের মাথায় মিলল দুই ছাত্রের দেহ, পুলিশের ভূমিকায় ফুঁসছে কেষ্টপুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 06, 2022 | 4:38 PM

Kestopur Student Murder: ঘটনায় এলাকারই যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিখোঁজ দুই ছাত্রের পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

Kestopur Student Murder:কোটি টাকার SMS!  নিখোঁজের ১৫ দিনের মাথায় মিলল দুই ছাত্রের দেহ, পুলিশের ভূমিকায় ফুঁসছে কেষ্টপুর
বাঁ দিকে অতনু, ডান দিকে অভিষেক

Follow Us

কলকাতা: কেষ্টপুরের নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার। গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল দুই ছাত্র। মিলছিল না কোনও খবর। ২৪ অগস্ট আসে মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস বার্তা। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগের মাঝেই দু’জনের দেহ উদ্ধার হল বসিরহাট থেকে। যা নিয়ে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মৃতদের নাম অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। ঘটনায় এলাকারই যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিখোঁজ দুই ছাত্রের পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই সপরিবারে পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেষ্টপুরের নেতাজিপল্লির অর্জুনপুরের বাসিন্দা দুই ছাত্র। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২২ অগস্ট তাঁরা কার্যত একই সময়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তারপর নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করার পর ২৩ অগস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

পরিবারের দাবি, ২৪ অগস্টই নিখোঁজ ছাত্র অতনুর বাবার কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে এসএমএস আসে। এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। গোটা বিষয়টি বাগুইআটি থানার পুলিশকে তখনই জানায় ছাত্রদের পরিবার। অভিযোগ, তারপরও পুলিশ কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে মোবাইল ফোন লোকেট করে বর্ধমান থেকে অতনুর ফোন উদ্ধার করে।

পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বাগুইহাটি থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনরকম সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে বাগুইহাটি থানা মারফত খবর আসে বসিরহাট থানা এলাকায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই দেহ শণাক্তের জন্য পরিবারের সদস্যরা বসিরহাট হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অতনুর দেহ শণাক্ত করেন তাঁরা। অতনু দের দেহ পাওয়া গেলেও অভিষেক নস্করের খোঁজ মিলছিল না। পরে মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহও। এলাকার দুই যুবকের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেহেতু অভিযুক্তের পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি, প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানাচ্ছে, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানাচ্ছে, গলায় দাগ রয়েছে, তার থেকে অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

Next Article