কলকাতা: নারদ কাণ্ডে (Narada Case) এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিল সিবিআই। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায় যদি তাদের পক্ষে না যায়, তাহলে বিকল্প ভাবনা হিসাবে জামিন বাতিলের আর্জি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে জানাবে সিবিআই (CBI)।
ইতিমধ্যেই লিগাল সেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। যদি রায় তাঁদের পক্ষে না যায়, তাহলে চার হেভিওয়েটের জামিন বাতিলের আর্জি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
পাশাপাশি ধৃত চার জনের মধ্যে কেউ যদি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন, তাহলে আইনি পথে তার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেই প্রস্তুতি নিয়েছে সিবিআই। সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ধৃত হেভিওয়েটদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ নজর রাখছে সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে জেল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সিবিআই।
প্রেসিডেন্স জেলে উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দুটি আলাদা ঘরে রয়েছেন তাঁরা। জেল সূত্রে খবর, গোটা রাতই তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁর আচরণে তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। এই উদ্বেগের জন্য তাঁদের শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। চেক আপের জন্য তাঁদেরকে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, ভোর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাত তখন ৩.৩০ মিনিট। আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্রের। ভোট ৩.৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে। উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন তিনি। সমস্যা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও। তাঁকেও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে রাখা হয়েছে ১০৫ নম্বর রুমে। ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ একবার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরজায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
প্রথমে ফিরহাদ, সুব্রত, মদন, শোভনের জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু রাতে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ তাঁদের জামিনের আদেশ খারিজ করে দেন। প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে ধরে আসে ফিরহাদ হাকিমের গলা। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।