কলকাতা: কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃতের বাবা। তাদের অভিযোগ, অসহযোগিতা করছে পুলিশ। সঠিক তথ্য মৃতের পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে না। এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের নজরদারি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য…
জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও সুপ্রিম নস্কর (মামলাকারীর আইনজীবী) : ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু কান থেকে রক্ত বেরতে দেখা গিয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য। ঘটনার দিন আইনজীবী নিয়ে পরিবার কসবা থানায় গেলেও তাঁদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে দেওয়া হয়নি। ওই পড়ুয়া কখন পড়ে গিয়েছে তারও কোনও ছবি নেই। এমনকী পরিবারের সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।
এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সিট গঠন করে তদন্তের দাবি জানান আইনজীবী। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানান তাঁরা।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত : এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক গাফিলতি করবেন বলে মনে হয়?
সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিলভার পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষের আইনজীবী) : ওই পড়ুয়ার সঙ্গে প্রজেক্ট তৈরি নিয়ে ক্লাস টিচারের কথাকাটাকাটি হয়। সেই সময় ছাত্রটি শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। সিসিটিভি ফুটেজে সবটাই দেখা গিয়েছে। এরপর পাঁচ তলার উপর থেকে ছেলেটি ঝাঁপ দেয়। তখনই মুকুন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত : তার মানে খারাপ ব্যবহার করার পর ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে বলতে চাইছেন?
এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তদন্তে নজরদারি করতে হবে। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। তাঁদের থেকে ওই রিপোর্ট ও ভিডিয়োগ্রাফি দেখিয়ে মতামত নিতে হবে।
সিসিটিভি ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের কপি এখনই পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি আদালতে জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ অক্টোবর।