Indian Navy: প্যাঁচার মতো ঘোরাতে পারে ঘাড়! শত্রুর মিসাইলের গন্ধ পেলেই ২৫ কিমি দূর থেকেই করতে পারে খেলা শেষ
Indian Navy: বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হোক, ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে সনাক্তকরণ ও ট্র্যাকিং করতে পারে এই MF-STAR। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, S-Band AESA প্রযুক্তির অন্যতম সেরা ব্যবহার হয়েছে এই র্যাডারে।

ভারতীয় নৌসেনার হাতে রয়েছে এমন এক র্যাডার যার ক্ষমতা শুনে কার্যত কালঘাম ছুটে যায় শত্রুদের। শত্রুদের মিসাইল দমন তো রয়েইছে, পাশাপাশি এর জুড়ে থাকা একাধিক অত্যধুনিক ফিচার্স তাক লাগায় সাড়া বিশ্বকে। যখন আকাশে শত্রুর হাইপোডার্মিক সুপারসনিক মিসাইল ছুটে আসে, বা সমুদ্রের ঢেউ চিরে ছুটে আসে সি-স্কিমিং অস্ত্র তাদের ঠেকাতে এদের জুড়ি মেলা ভার। ২৫ কিলোমিটার দূর থেকেই শেষ করে দিতে পারে খেলা। সোজা কথা এই এ এক এমন হাতিয়ার যা কার্যত নৌসেনার চোখ-কান হয়ে ওঠে। কথা হচ্ছে EL/M-2248 MF-STAR র্যাডার নিয়ে।
কী কী ফিচার্স রয়েছে এই র্যাডারে?
তথ্য বলছে, AESA প্রযুক্তির এই র্যাডারে রয়েছে ৪টি ফিক্সড প্যানেল। অর্থাৎ, এক্কেবারে প্যাঁচার মতো ঘোরাতে পারে ঘাড়। ১৯০ ডিগ্রি নয়, পাওয়া যায় ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ। এতে রয়েছে ১২,০০০-এরও বেশি TR মডিউল। একইসঙ্গে হাজারের বেশি এয়ার টার্গেট এবং শতাধিক সারফেস টার্গেট ট্র্যাক করতে সক্ষম এই জায়ান্ট র্যাডারে।
বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হোক, ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে সনাক্তকরণ ও ট্র্যাকিং করতে পারে এই MF-STAR। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, S-Band AESA প্রযুক্তির অন্যতম সেরা ব্যবহার হয়েছে এই র্যাডারে। শত্রু শিবিরের মিসাইলের গন্ধ পেলেই নিজেই ট্র্যাক করতে শুরু করে দেয়। ট্র্যাক করে কমান্ড সিস্টেমে তথ্য পাঠায়। যার উপর ভিত্তি করে বারাক-৮, বারাক-এমএক্স মিসাইল গাইড হয়। পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম হয় সেনা।
