SSC Server Room Case: ‘কার সই আমি জানি’, কমিশনের সার্ভার রুম মামলায় নয়া রহস্যের উদঘাটন কল্যাণের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 20, 2022 | 1:04 PM

SSC Server Room Case: সোমবার ফের এই মামলার শুনানি। মনে করা হচ্ছে, সব শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চাইতে পারেন, ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে।

SSC Server Room Case: কার সই আমি জানি, কমিশনের সার্ভার রুম মামলায় নয়া রহস্যের উদঘাটন কল্যাণের
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানি

Follow Us

কলকাতা: সার্ভার রুম খোলা নিয়ে আদালতে আবেদন রাজ্যের। বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সার্ভার রুম খোলার পক্ষে এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন। তিনি বলেন,”যদি না সার্ভার রুম খোলা হয়, তাহলে নতুন নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। ফাঁকা পদের সংখ্যা তাতে আরও বাড়ছে। তাই তদন্ত যেমন চলছে চলুক, কিন্তু নতুন নিয়োগের পথ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।” আদালতে যাতে এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নেয়, তার আর্জি জানান তিনি।

বুধবারের সওয়াল জবাবের সময়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো নাটকীয় ভঙ্গিতে বলেন, “কোর্টকে সব শেষে আমি কিছু বলব। গোটা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা দেব। তখনই আমি আসল তথ্য সামনে আনব।” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনেই রহস্য জিইয়ে রেখে তিনি বলেন, “আদালত গোটা নিয়োগ বিতর্কের পিছনের রহস্য খুঁজছে। আমিও জানি। আমি সই দেখেছি। কার সই জানি। আমি মুখ খুললে পুরো ঘটনা প্রবাহের ক্লাইম্যাক্স পৌঁছে যাবে।” বিচারপতির সামনে তিনি এক নতুন রহস্য উত্থাপন করার চেষ্টা করেন। কার সই, কে সেই ব্যক্তি, সে ব্যাপারে কিছুই খোলসা করে বলেননি তিনি।

সোমবার ফের এই মামলার শুনানি। মনে করা হচ্ছে, সব শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চাইতে পারেন, ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে। কত নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য বাগ কমিটির রিপোর্ট চাইলেও সিবিআই তাতে আপত্তি জানায়। সিবিআই-এর বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে ওই রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা অনুচিত।

রাজ্যের অনেকগুলো স্কুলেই শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চলায় বন্ধ রয়েছে সার্ভার রুম। সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই সার্ভার রুমে এসএসসি কর্মী ও আধিকারিকরা শেষ কম্পিউটার সেট আপ তৈরির কাজ করেছেন। সিবিআই তদন্তের স্বার্থে সার্ভার রুম তারপর সিল করে দেওয়া হয়েছে। তাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না বলে দাবি রাজ্যের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই বলেছেন, “সার্ভার রুম খুললেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।” রাজ্য সার্ভার রুম খোলার আর্জি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল।

Next Article