কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে হামলার পিছনে তাঁর দলেরই এক নেতার ইন্ধন রয়েছে। রাজ্য পুলিসের রিপোর্টে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে। এবার শাসক দলের সর্বোচ্চ স্তরের তরফেও একই দাবি করা হল। “বাংলার বদনাম করতেই পরিকল্পনা মাফিক রাজনৈতিক সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে বিজেপি“, এমনটাই দাবি তৃণমূলের (TMC) শীর্ষতম স্তরের।
সূত্রের খবর, শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘরোয়া আলোচনায় দাবি করেছেন, বিজেপির লোকজন রাজনৈতিক গণ্ডগোল পাকিয়ে সেই অছিলায় রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এমনটা দেখাতে চাইছে। রাজ্যকে বদনাম করার জন্যই বিজেপি এই কাজ করছে বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘রাকেশ সিং খিদিরপুরের বাসিন্দা। ওর বিরুদ্ধে ৫৯টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নাড্ডার কনভয়ের সামনে বাইক নিয়েও যাচ্ছিল বলে খবর পেয়েছি। রাস্তার ধারে যে সব মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের প্রতি ও কুরুচিকর মন্তব্য করে বলেও শুনেছি। রাকেশ কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল।’’
এদিন রাজ্য পুলিশ নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ৫টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত এবং একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাকেশ সিং গণ্ডগোল করতে ইন্ধন দিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই শিরাকোলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সামান্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। শাসক দলের সর্বোচ্চ স্তরের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে কলকাতায় বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙা নিয়ে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়েছিল, তার পিছনেও ছিল এই রাকেশরই হাত।
আরও পড়ুন: শিরাকোলের ‘দশ মিনিটের’ অশান্তিতে উস্কানি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতাই, নবান্নে রিপোর্ট পুলিসের
নাড্ডার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সফরে কনভয়ে হামলার প্রভাব পড়েছে গোটা রাজ্যেই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সে সব খবরের প্রচার ও সম্প্রচারে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসক দলের। তারই মধ্যে প্রায় বেনজিরভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তলব করেছে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে। যদিও রাজ্যের তরফ থেকে পাল্টা চিঠি দিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। এবং হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের প্রতিনিধিদের যেন দিল্লির বৈঠক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি দিয়ে রাজ্যের যুক্তি পেশ করেছেন মুখ্যসচিব। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাল্টা কোনও জবাব আসেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: বাজল ভোটের বাদ্যি, ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার