কলকাতা: রাস্তায় বেরিয়ে অচেনা কেউ খাবার দিতে চেয়েছে? অথবা কেউ ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়াতে চেয়েছে? তাহলে সাবধান হোন! ভুলেও অচেনা কারও থেকে কোনও খাবার খাবেন না। এমনকি, জল পর্যন্ত না। কারণ শহরে ক্রমাগত বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। এই নিয়ে এক মাসের মধ্যেই তিনটি ঘটনার সাক্ষী থাকল রাতের শহর। মাদক মেশানো ঠাণ্ডা পানীয় খাইয়ে লুট করা হল সর্বস্ব।
ঠিক কী ঘটছে?
অভিযুক্ত প্রথমে ওলা বা উবের যে কোনও একটি ক্যাব বুক করেন। তারপর চালককে ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। চালক সেই পানীয় খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়লে সমস্ত কিছু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর। সল্টলেক থেকে ক্যাব ভাড়া করে গাড়িতে ওঠে এক অল্প বয়সি যুবক-যুবতী। কিছুদূর যাওয়ার পরই কোল্ড ড্রিঙ্ক কেনার জন্য গাড়ি থেকে নামেন তাঁরা। এরপর নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি চালককেও প্রস্তাব দেয়। চালক সেই পানীয় খাবার পর অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান গাড়ি থেকে লুট হয়ে গিয়েছে সব কিছু। ড্রাইভারের টাকা, মোবাইল, অন্যান্য সামগ্রী এমনকী গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ফোন যায় চালকের বাড়ির নম্বরে। এরপর দুর্ঘটনার মিথ্যা খবর জানিয়ে টাকা দাবি করা হয়। এরপর ওই চালকে উদ্ধার করে বেহালা থানার পুলিশ। বর্তমানে ওই ব্যক্তি বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিত চালকের ভাই তাপস ঘোষ জানান, “দুপুর ২টো নাগাদ দাদা নিউটাউনের কাছে থেকে একটি বুকিং নেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। দু’তিন দিন পরে আজ বেহালা থানা খবর দেয়, দাদাকে পাওয়া গিয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার বিচার হোক। অপরাধী ধরা পড়ুক।”
উল্লেখ্য, এর আগে পরপর দু’দিন ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, গত ১৪ সেপ্টেম্বর, একই ভাবে অন্য আরও এক ক্যাব চালককে মাদক মেশানো ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ানো হয়। পানীয়টি খাবার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন চালক। পরে জ্ঞান ফিরলে লক্ষ্য করেন গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে লুট হয়ে গিয়েছে সমস্ত কিছু।
দিন-দিন বাড়ছে অ্যাপ ক্যাবে অপরাধের সংখ্যা। আজও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে অপরাধের খবর। গাড়ির মধ্যেই মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উবের চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল বেঙ্গালুরু। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার জন্য ক্যাব বুক করেছিলেন যুবতী। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন ক্যাব চালক। এরপরই অত্যাচার চালায় সে। পরে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় তাঁকে। এমনটাই দাবি ওই যুবতীর। ধস্তাধস্তির সময় কোনও মতে গাড়ির চালকের ফোন ছিনিয়ে নেন নির্যাতিতা মহিলা। থানায় গিয়ে সেই ফোন জমা দেন তিনি।