Nigerian: ফুটবল খেলতে ভারতে আসা, তারপর আস্তে আস্তে দেশ জুড়ে ফাঁদ পেতেছিল নাইজেরিয়ার জেফারসন, কীর্তি জানলে অবাক হবেন

সুজয় পাল | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 27, 2025 | 6:04 PM

Nigerian: বিশেষ সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, মামলার বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত বুঝতে পারে যে এই মামলায় তার সাজা হবেই। তারপর নিজেই দোষ স্বীকার করে নেয়।

Nigerian: ফুটবল খেলতে ভারতে আসা, তারপর আস্তে আস্তে দেশ জুড়ে ফাঁদ পেতেছিল নাইজেরিয়ার জেফারসন, কীর্তি জানলে অবাক হবেন
অভিযুক্ত নাইজরিয়ান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ফুটবল খেলার নামে ভিসা বাগিয়ে ভারতে বসে তৈরি করছিলেন প্রতারণার জাল! গত বছর কয়েক ধরেই চলছিল এই ব্যক্তির সাজানো ‘চক্র’। সম্প্রতি সেই কেলেঙ্কারির জাল কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ায় ধরা পড়ে যান তিনি।

শুক্রবার সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় এক নাইজেরিয়ার বাসিন্দাকে আট বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিচার ভবনের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ওই নাইজেরিয়ানকে। আট বছরের সাজা শেষ হলে ওই ব্যক্তিকে নাইজেরিয়ায় ফেরত পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সাজা ঘোষণা হওয়ার পর কলকাতা পুলিশের বিশেষ সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, জেফারসন এজ হেনরি নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ফুটবলার হিসেবে ভিসা জোগাড় করে ভারতে এসেছিলেন। কয়েকটি ম্যাচও খেলেছেন তিনি। তারপর মুম্বইতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সাইবার জালিয়াতি চক্র চালাতেন বলে দাবি আইনজীবীর।

ঘটনাচক্রে কলকাতার বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাইজেরিয়ানের পাতা ফাঁদে পা দেন। নিজেকে রয়্যাল ব্যাঙ্ক অব লন্ডনের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে শৈবালবাবুর থেকে মোটা টাকা ডিজিটালি লুঠ করার অভিযোগ ওঠে নাইজেরিয়ান ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে টাকা বিনিয়োগ করার কথা বলত ওই ব্যক্তি। বলা হত, মোটা সুদে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। তারপর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদ পাতা হত। এখানেই শেষ নয়, ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট, ই মেল আইডি তৈরি করে লোককে বোকা বানিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই নাইজেরিয়ান। নিজের ভুল বুঝতে পেরে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানান কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মী। সাইবার থানা ফাঁদ পেতেই নাইজেরিয়ানকে গ্রেফতার করে।

বিশেষ সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, মামলার বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত বুঝতে পারে যে এই মামলায় তার সাজা হবেই। তারপর নিজেই দোষ স্বীকার করে নেয়। ‘মাস্কড ভিপিএন’ তৈরি করে নিজের লোকেশন অন্য দেশে দেখিয়ে, মুম্বইতে বসেই এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল ওই ব্যক্তি।

আইনজীবীর মতে, সারা দেশে যেখানে সাইবার চক্রের জাল ছড়িয়ে আছে, সেখানে এরকম একজন ব্যক্তির সাজা ঘোষণা হওয়ায় মানুষের মনে আশা জাগবে। যে ব্যক্তি কোটি টাকা খুইয়েছেন, তিনিও এই সাজা ঘোষণার পর টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি কমিটি রয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে কী ভাবে, কত টাকা ফেরানো হবে।