কলকাতা: ধর্মতলায় অমিত শাহর সভার সিঙ্গল বেঞ্চের অনুমতিতে আপত্তি আছে রাজ্যের। আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলা চত্বরে সভার আয়োজন করছে পদ্ম শিবির। কিন্তু, বিজেপির এই সভা ঘিরে আইনি জট এখনও অব্যাহত। সভার আগের দিন মামলার শুনানি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। যদিও এদিন আবার এই মামলার শুনানি চলে সিঙ্গল বেঞ্চে। সেখানে রাজ্যের তরফে বলা হয়, ২০ নভেম্বর মামলা দায়ের করার পর ১০ মিনিট সময় পেয়েছে রাজ্য। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য ২৮ নভেম্বর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। আর পরের দিন সভা। আসলে সভা যাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা যায়, এটা তার কৌশল বলে মত পদ্ম শিবিরের।
এ কথা শুনে পাল্টা রাজ্যের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কেন? আজ মামলা দায়ের করে রাজ্য এতদিন পরে কেন শুনানির ডেট রেখেছে? রাজ্যকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর মধ্যে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে রাজ্যকে। আর তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়ে গেলে তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সিঙ্গল বেঞ্চ, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
প্রসঙ্গত, এর আগে হাইকোর্টের একক বেঞ্চে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশকে সভার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। মান্থার স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ ছিল, ভারতের মতো স্বাধীন দেশে কাউকে বাধা দেওয়া যায় না। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর স্বভাবতই খুশির হাওয়া দেখা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। রাজ্যকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই। কিন্তু, কবে এই মামলার শুনানি হবে তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর।