কলকাতা: নিজের ঘাঁটি ছেড়ে বাঘের অন্যত্র বেরিয়ে পড়া কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। গন্ডগোলটা হচ্ছে যে উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল বাঘিনি জিনাতকে তা কি আদৌ সফল হবে! মহারাষ্ট্র থেকে ওড়িশায় জিনাতকে আনা হয়েছিল বাঘের রোগ সারাতে।
কারণ সিমলিপালের প্রজেক্ট ইনারব্রিড হওয়ার ফলে বাঘের ডোরাকাটর হলুদ রং কালো হয়ে যাচ্ছিল। দুই বাঘিনী যমুনা আর জিনাতকে আনা হল সমস্যা সমাধানে। কিন্তু থিতু হওয়ার আগেই যে উধাও জিনাত!
আর এই বাঘিনি তিন রাজ্যের বন দফতরের কর্মী থেকে এলাকাবাসীর ঘুম কেড়েছে। তবে এত উদ্বেগের মধ্যে একটা জিনিস কিন্তু খুব ইতিবাচক। তা হল দেশে বাঘের বংশবৃদ্ধি। রইল সেই পরিসংখ্যান।
দেশে বাঘের বাস
এ বার ৩ হাজার পার
২০০৬: ১,৪১১
২০১০: ১,৭০৬
২০১৪: ২,২২৬
২০১৮: ২,৯৬৭
২০২২: ৩,৬৮২
তথ্যসূত্র: স্টেটাস অফ টাইগারস ইন ইন্ডিয়া, ২০২২
সুন্দরবনে বাঘের সেঞ্চুরি
————
২০১০: ৭০
২০১৪: ৭৬
২০১৮: ৮৮
২০২২: ১০১
তথ্যসূত্র: স্টেটাস অফ টাইগারস ইন ইন্ডিয়া, ২০২২
এ বার ওড়িশার সিমলিপাল থেকে গুরবান্দা হয়ে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসা জঙ্গলে পৌঁছেছিল বাঘিনি জিনাত। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানাতেই ঝাড়গ্রাম।
কিছুদিন ধরে জামবনি, গিধনি ও বেলপাহাড়ি রেঞ্জের ঝাড়খণ্ড সীমানাগুলিতে নজরদারি শুরু করেছিল বন দফতর। শেষ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলায় ঢুকে পড়ে বাঘিনি জিনাত। তারপর বাঁকুড়া সীমানা ঘেঁষে একেবারে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। সেখানেই সে থিতু হয়েছে। লালগড়ের মতো ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সচেষ্ট বন দফতর। বন্যপ্রাণ ও মানুষের সংঘাত ঠেকাতে চলছে নজরদারি।