কলকাতা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দুর্নীতি-কাঁটা সরিয়ে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করাতে নজর দিয়েছে শাসক তৃণমূল। ইতিমধ্যে শীর্ষ স্তরে নেতাদের জেলাওয়াড়ি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে নির্বাচন কমিটি। থাকছেন দলের শীর্ষনেতারা। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের রাজ্য নির্বাচনী কমিটির ২২ জনের বৈঠক হল তৃণমূল ভবনে। সিদ্ধান্ত হয়, দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পাশাপাশি এই শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন জেলার জোনাল ইলেকশন কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন । জেলা সফর করবেন। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের কোনও দায়িত্ব পালন করবেন না তাঁরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে,
১. ফিরহাদ হাকিম মুর্শিদাবাদ , মালদা , উত্তর দিনাজপুর, বীরভূমের দায়িত্বে থাকবেন। সহ দায়িত্বে নাদিমুল হক।
২. মালা রায় ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাওড়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ ও হুগলির সংগঠনের দায়িত্ব অরূপ বিশ্বাসের ওপর।
মানস ভুঁইঞার দায়িত্বে পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম ।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত বক্সি নিজে। জেলা নেতাদের নিয়ে যে জোনাল কমিটি তৈরি হয়েছে, তাঁরাই মূলত গ্রামবাংলার জনসংযোগের ওপর জোর দেবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘গ্রাম বাংলার মতামত’ আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘অ্যাসিড টেস্ট’। সহজ ভাষায় গণভোট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাকে প্রার্থী করা হবে, কে বেশি জনসংযোগকারী নেতা হবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হবে। জনসংযোগে জোর দিতে সোমবার থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নবজোয়ার’আনতে তৎপর তৃণমূল।