কলকাতা: উধাও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের আংটি। গতবার শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল গহনাগাটি সমেত কীভাবে গারদে রয়েছেন তিনি? প্রশ্ন তুলে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বে শানও দিয়েছিলেন ইডি-র আইনজীবী। তলবও করা হয় জেল সুপারকে। সূত্রের খবর, সেই চাপেই সোমবার অলঙ্কারহীন অবস্থায় দেখা গেল হেভিওয়েটকে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে আংটি নেড়েচেড়ে বোঝাতে চাইলেন তিনি আংটি-ঘড়ি খুলে ফেলেছেন।
আগেরবার ভার্চুয়ালি শুনানি পর্বের শুরুতেই ইডির আইনজীবী বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, যাতে পার্থকে বলা হয় হাতের দু’পাশ দেখানোর জন্য। বিচারকের নির্দেশ মতো পার্থবাবুও এগিয়ে এসে হাতের দুই পাশ দেখান। ঠিক তখনই ইডির আইনজীবী বিচারককে জানান যে প্রাক্তন মন্ত্রী এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে জেলেও আংটি পরতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আজ কোর্টের ভিতরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঠিক আগের দিনের কায়দায় আঙুল নেড়েচেড়ে দেখান পার্থ। তাতে দেখা যায় তাঁর হাতে আংটি-ঘড়ি কিছুই নেই। এরপর তিনি জানান এতদিন ওই আংটি কেন পরেছিলেন।
পার্থ এ দিন ঘনিষ্ঠ মহলে বলেন, “ওটা অলঙ্কার ছিল না। ধর্মচারণের অংশ ছিল। আমি ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলে। ইডি অফিসের ছ’তলায় ঠাকুরের ছবি রয়েছে। ওরা যদি ধর্মাচরণ করতে পারে আমি পারব না কেন? ইডি তো আমার আংটি খোলেনি।”
বস্তুত, গতবার ইডির আইনজীবী বিচারককে বলেন,”হাতের রিংটা দেখলেন? দেখুন কতটা পাওয়ারফুল হলে জেলেও রিং পরে আছেন।” ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন,”একজন অভিযুক্ত কি জেলে কোনও অলংকার পরে থাকতে পারে? সব তো খুলে রাখতে হয়। পার্থ এতটাই পাওয়ারফুল যে তাঁকে জেলেও আংটি পরতে দেওয়া হচ্ছে।” আংটির প্রসঙ্গ মেনে নিয়ে সেইদিন পার্থর আইনজীবী বলেন “পার্থবাবু কীভাবে জানবেন জেল কোডে কী বলা আছে। তাহলে তো পার্থবাবু আইনের সব জানবেন।” সেই দিনের ঘটনার পর আজ সম্পূর্ণ অলঙ্কার শূন্য অবস্থায় দেখা গেল প্রাক্তন মন্ত্রীকে।