Kunal Ghosh: ‘বিকাশ নিয়েছেন ২৫ লক্ষ, শামিম ৭ লক্ষ, তারপরও কেন?’, CPM নেতা-নেত্রীদের ছবি দেখিয়ে এ কী বললেন কুণাল?
Calcutta high court: আজ কুণাল বলেন, "এসএলএসটি শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে হাইকোর্টে একটি ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিরা দেখা করতে আসেন। এদের অবিলম্বে নিয়োগে যে স্থগিতাদেশ আছে, তা তুলে নিয়োগ করা উচিত।"

কলকাতা: বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সিপিএম-কে বেনজির আক্রমণ তাঁর। এক-একজন তাবড় সিপিএম নেতা-কর্মীর ছবি দেখালেন তিনি। তারপর প্রশ্ন তুললেন, এক সময় যে সকল সিপিএম নেতারা আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্য বলে দাবি তুলে তাঁদের আন্দোলনে গিয়ে ছবি তুলেছেন, আজ তাঁদেরই চাকরি কাড়তে কেন মরিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে ফিরদৌস শামিম? তাঁরা তো এদের মামলা লড়ার জন্য গুনে-গুনে টাকা নিয়েছেন। তারপরও কেন চাকরি কেড়ে নিতে চাইছেন? এ দিন মীনাক্ষী, সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।
বস্তুত, শুক্রবার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে কলকাতা হাইকোর্টে। সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত রায় দেওয়া হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে আন্দোলন একদল চাকরিপ্রার্থীর। শোনা যায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে স্লোগান। এবার এই নিয়ে বিক্ষোভকারীদের পাশে দেখা গেল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে।
আজ কুণাল বলেন, “এসএলএসটি শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে হাইকোর্টে একটি ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিরা দেখা করতে আসেন। এদের অবিলম্বে নিয়োগে যে স্থগিতাদেশ আছে, তা তুলে নিয়োগ করা উচিত। এরা সকলে যোগ্য। সিবিআই-এর কোনও অভিযোগ নেই। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী রেকমেন্ডশন লেটার দিয়েছেন। কিন্তু তারপর সিপিএমের উকিলরা এদের পরিবারকে জটিলতায় ফেলেছেন। এই স্থগিতাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চলেছে। আইনজীবিদের কাছে ওঁরা যাচ্ছেন। বিচারপতি যা চাইছেন তাই পাচ্ছেন। ফের সিপিএম-এর আইনজীবীরা ফ্যাকড়া তুলেছে।” তিনি এও বলেন, “আর বিচারপতির কিছু কিছু সিপিএমের আইনজীবীকে দেখলে কী হয় জানি না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখেছি। ভগবান-ভগবান-তারপর সাংসদ।”
এরপর তাঁর সংযোজন, “গতকাল ওঁদের কেউ-কেউ যন্ত্রণায় কিছু বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সমস্যা হলে পুলিশ প্রশাসন দেখবেন। কিন্তু সিপিএমের আইনজীবী যে গুন্ডামি করলেন…. একটা কাল কা যোগী, নাম পরিবর্তনের উকিল। সে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থাকতে দেবে না ক্ষমতায়। তৃণমূল যদি মনে করে তোমাকে পাড়ায় থাকতে দেবে না। তুমি কোথায় যাবে? তৃণমূল এই নীতিতে বিশ্বাসী নয়।”
এরপরই একে একে ছবি সংবাদ মাধ্যমে কুণাল দেখিয়ে বলেন, “এরা যখন ধরনায় ছিলেন তখন মহম্মদ সেলিম ওই ধরনা মঞ্চে গিয়ে কী করছেন? লজ্জা করে না? বিকাশ ভট্টাচার্য আবার চাকরি আটকাচ্ছেন। সুজন চক্রবর্তী এদের ধরনায় বসে আছে। যিনি এদেরই চাকরির জন্য ৬ই জানুয়ারি ২০২১ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন…যাতে এদের চাকরি হয়। আর বিকাশ হাইকোর্টে চাকরি আটকাচ্ছে। কত বড় দু’নম্বরী।”
তিনি এও বলেন, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একসময় এনাদের পক্ষে ছিলেন। ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। আজ বাধা দিচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উনি বলছেন, টাকা নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু এটা কোন পেশাদারিত্ব? যাঁদের থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদেরই চাকরি আটকাতে মামলা করেছেন…।”
এরপর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ছবি দেখান। বলেন, “আগুন পাখি। আজ এদের ঘরে আগুন লাগাচ্ছে দরদী মাসিমা। ফুটেজ খেতে গেছেন।” তারপর আইনজীবী শামিমের ছবি দেখিয়ে বলেন, “শামিম যত ইচ্ছা গালাগালি দাও ভাই। তুমি মঞ্চে কী করতে গিয়েছিলে? শামিম ৭ লাখ নিয়েছেন। এদের সঙ্গে ছিলেন। আজ বিরোধিতা করছেন কেন? এরা একদিন আমাকে আমন্ত্রণ জানান। আমি গেলাম। মুখ্যমন্ত্রীর রেকমেন্ডশন লেটারে চাকরি হল। শামিমকে ফুল দিতে যান এরা। তারপর উনি পোস্টও করেন। এরপর এখন চাকরি বিরোধিতা করতে নেমেছে।”

