কলকাতা: দীপাবলির ঠিক আগেই দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রল ও ডিজ়েলের উপর থেকে কেন্দ্রীয় শুল্কে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। লিটারপিছু পেট্রলের শুল্কে ৫ টাকা এবং লিটারপিছু ডিজ়েলের শুল্কে ১০ টাকা ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দেখাদেখি বেশিরভাগ রাজ্যগুলিও পেট্রোপণ্যের উপর থেকে নিজেদের ভ্যাট কমিয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিজেপি শাসতি রাজ্য, তেমনই রয়েছে অবিজেপি রাজ্যগুলিও। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্য এখনও পেট্রোপণ্যের উপর দাম কমায়নি। তাই নিয়েও কেন্দ্রের তরফে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। আর এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ।
সাধারণ মানুষের এই তীব্র জ্বালানি যন্ত্রণার জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্যের কর পরিকাঠামোও অনেকটা ফারাক রয়েছে। পেট্রোপণ্যের উপর কর রাজ্যগুলির তুলনায় প্রচুর বেশি নেয় কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের উচিত আগে কর পরিকাঠামোয় একটি সামঞ্জস্য আনা। যদিও প্রশাসনিক এবং দলীয় বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা, তবে রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্রের এই বক্তব্য থেকে এটুকু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যে সম্ভবত এখনই রাজ্য সরকার পেট্রোপণ্যের উপর থেকে কর কমানোর কোনও চিন্তাভাবনা করছে না।
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ আজ বলেন, “কেন্দ্র লাগামছাড়াভাবে পেট্রল, ডিজ়েলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর সামান্য একটু কমিয়ে দিয়েছে। বিজেপির হাতে অন্য কিছু নেই। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। অন্যের উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের কর কাঠামোকে সমান করতে হবে। তারপর রাজ্যকে তেলের দাম কমাতে বলুক। মুখরক্ষার রাজনীতি চলছে কেন্দ্রে।”
পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভা অন্দরে এই প্রথম সরব হতে চলেছে বিজেপি। সেখানে থাকার কথা উপস্থিত থাকার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আগামী সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে বিধানসভায় শোক প্রস্তাব আসার কথা। ফলে তারপরে অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, শোকপ্রস্তাবে কলকাতা ও লাগোয়া জেলার বিধায়করা, উপস্থিত থাকবেন।
বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে অংশগগ্ৰহণ করার কথা দলীয় বিধায়কদের। আর মুলতুবি না-হলে অধিবেশন কক্ষেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে সর্ব হবেন পদ্ম শিবিরের বিধায়করা।
প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস করেছে কেন্দ্র। ডিজেলের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস পেট্রোলের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। পেট্রোল ও ডিজেলের টানা মূল্যবৃদ্ধিতে মুদ্রাস্ফীতিতেও প্রভাব পড়েছে। তার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এতদিন সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার পাল্টা প্রতিবাদের পথে হাঁটছে বিজেপিও।
আরও পড়ুন: ‘বাবাও চলে গেল, আর ভাইও! এবার মাকে কীভাবে বাঁচাব…’ ভাইফোঁটার দিনই দিদির বুক থেকে ভাইকে কাড়ল বাস