কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে নেমে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর রাজ্য সরকারও মন্ত্রিসভার যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই নিয়ে টুইট করেছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তথা অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। তাঁর বক্তব্য, এই টাকা রাজ্যের গরিব মানুষদের শোষণের টাকা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু যাঁদের থেকে এই টাকা হাতানো হয়েছে, তাঁদের জন্য এই টাকা খরচ করতে হবে।” অপর্ণা সেনের সেই টুইটের পর সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। এবার সেই নিয়ে মুখ খুলল তৃণমূলও। রাজ্যের শাসক দলের তরফে বিধায়ক তাপস রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য অপর্ণা সেনকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
Let’s not forget that 50 cr recovered from erstwhile state minister Partha Chatterjee was acquired by exploiting the poor of WB. TMC have tried to save face by throwing PC out of the cabinet. That doesn’t wash! The money should be used for the benefit those that have been robbed!
— Aparna Sen (@senaparna) July 28, 2022
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তাপস রায় শুক্রবার বলেন, “অপর্ণা সেন একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং পরিচালক। কিন্তু কোন খাতে খরচ হবে, সেই সম্পর্কে তিনি বলে থাকলেও তিনি হয়ত জানেন না। কারণ, কোন খাতে খরচ হবে, তা মূলত আদালত ঠিক করে দেয়। এই টাকা সাধারণত সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে। অপর্ণা সেন তাই যদি আদালতে গিয়ে বলেন যে এই টাকাগুলি যেন গরিবদের জন্য খরচ করার ব্যবস্থা করা হয়। সে ক্ষেত্রে আদালত যদি গ্রহণ করে, তাহলে হতে পারে।” সেই সঙ্গে বিধায়ক আরও বলেন, “এই টাকার উৎস কী, সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তা বেরিয়ে আসবে।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে যে বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের সেইভাবে সরব হতে দেখা যায়নি। বুদ্ধিজীবীদের এই নীরবতা নিয়ে মুখ খুলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। কেন তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রুদ্রনীল।
ফেসবুকে এই নিয়ে সরব হয়েছেন ঋদ্ধি সেনও। তিনি লিখেছেন, “একদিকে চলতে থাকুক বঙ্গভূষণ , বঙ্গবিভূষণ আর মহানায়ক সম্মান , অন্যদিকে আরও ২০ কোটি উদ্ধার আরেকটা ফ্ল্যাটে , আবিস্কার হবে আরও , বাড়বে আরও কিছু শূন্য । শুধু এর মাঝখানে রাস্তায় দিন রাত এক করে ন্যায্য দাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আরও দুটো শুন্যে যোগ হলো ৫’এর সাথে, তাদের , যারা সৎ ভাবে স্বপ্ন দেখেছিল। ছিঃ।”