কলকাতা: বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছে তৃণমূল। ল্যান্ড স্লাইড জয় এসেছে কলকাতার পুরভোটেও। কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং জনসংযোগ বাড়ানোর নয়া ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিয়েছেন। দলের জন্মদিন থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস… ১২ জানুয়ারি থেকে নেতাজি জন্মজয়ন্তী… কোন দিনে কী কী করতে হবে, জেলা নেতৃত্বকে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
দিন কয়েক পরেই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবছরই ১ জানুয়ারি দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে জোড়াফুল শিবির। এবারও সেই পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এবার কর্মসূচি থাকছে এক সপ্তাহ ব্যাপী। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি। প্রত্যেক ব্লকে এবং ওয়ার্ডে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি, বিবেকানন্দ, আবুল কালাম আজাদ, বি আর আম্বেদকর সহ বিভিন্ন মণীষিদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে এবং মাল্যদান করা হবে। এর পর গোটা সপ্তাহ জুড়ে মমতার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের রিপোর্ট কার্ড এলাকায় এলাকায় প্রচার করতে হবে। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। দুঃস্থ মানুষদের হাতে এবং হাসপাতালের রোগীদের হাতে ফল ও বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।
এরপর ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালনেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। প্রতিটি ব্লকে এবং ওয়ার্ডে মিছিল এবং অন্যান্য কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে। এরপর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৬ তম জন্ম জয়ন্তী মর্যাদা সহকারে পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়ৈ হয়েছে। প্রতিটি জেলার প্রত্যেকে ব্লকে ও ওয়ার্ডে পালিত হবে সুভাষ উৎসব।
২৬ জানুয়ারি, দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসেও একগুচ্ছ কর্মসূচি পালনের জন্য জেলার নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় নেতৃত্ব। জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে প্রজাতন্ত্র দিবসে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে এলাকার দুঃস্থ মানুষ এবং হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে বস্ত্র এবং ফল বিতরণ করার জন্য বলা হয়েছে জেলার নেতাদের। এখানেই শেষ নয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে প্রত্যেক জেলায় জেলায় শহিদ দিবস হিসেবে পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।