কলকাতা: ২০১৯ সালে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তারপরই রাস্তায় নেমে সেই আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত পাঁচ বছরে সেই আইন কার্যকর হয়নি ঠিকই, তবে অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে বার্তা দিয়েছেন মোদী সরকারের মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাংলার অন্যতম বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাবি, সাত দিনের মধ্যেই কার্যকর হয়ে যাবে সিএএ। এরপরই রাজ্যের সাফ জবাব, কোনও সিএএ কার্যকর হবে না। এ রাজ্যে সিএএ কার্যকর করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যানমন্ত্রী শশী পাঁজা।
শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শশী পাঁজা বলেন, “আবারও শান্তনু ঠাকুর বক্তব্যে সিএএ-র কথা বলেছেন। আসলে তাঁর নিজেরই এ বিষয়ে কোনও আত্মবিশ্বাস নেই। আত্মবিশ্বাস থাকলে একই কথা বারবার বলার প্রয়োজন পড়ত না।” শশী পাঁজা আরও দাবি করেছেন, বাংলায় নাগরিকদের ক্ষেত্রে সিএএ-র কোনও প্রয়োজন নেই। মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সিএএ-র প্রয়োজন নেই। সিএএ হবে না। বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে না। কারণ বংলায় যে নাগরিকদের সিএএ-র আওতাভুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা রেশন পাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন। তাঁরা সুখে-শান্তিতেই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।”
প্রতিবার নির্বাচন এলেই সিএএ-র কথা বলে আলোড়ন তৈরি করার চেষ্টা হয় বলে মন্তল্য করেছেন শশী পাঁজা। তবে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের দাবি, শান্তনু ঠাকুর যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাই কীভাবে সিএএ কার্যকর হবে, সেটা তাঁরই জানার কথা। উল্লেখ্য, রবিবার কাকদ্বীপে একটি সভামঞ্চ থেকে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে সিএএ, আর এ ব্যাপারে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি।