কলকাতা: থামানো যাচ্ছে না ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে। সোমবারের মন্তব্যের পর ফের মুখ খুললেন তিনি। এবার তাঁর আক্রমণের তীর রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে। সঙ্গে এও পরিস্কার জানালেন, কোনও ভাবেই তিনি গতকাল করা নিজের বক্তব্য থেকে সরছেন না। একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।
তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই সোমবার হুমায়ুন কবিরের একটি মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালে। তিনি ফুলটাইম পুলিশমন্ত্রী চেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন। এর প্রেক্ষিতেই কার্যত ক্ষুব্ধ হন ববি। শুধু ফিরহাদ নয়, প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনও মুখ খোলেন। হুমায়ুনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, “যারা এত কথা বলছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিক থেকে বলিষ্ঠ নেত্রী। তিনি এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।”
যদিও, পুরমন্ত্রীর এই মন্তব্যে চুপ থাকেননি হুমায়ুন। আবার মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “আমি আমার বক্তব্য জানিয়েছি। আমি আমার বক্তব্য থেকে কোনওভাবে সরছি না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার , ওঁর, অভিষেক সকলের নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই আমি তুলিনি।” এরপর ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করে তৃণমূল বিধায়কের মন্তন্য, “নিজের মত কথা বলতেই পারেন। কিন্তু ফিরহাদ হাকিম এত কথা বলছেন, উনি নিজেই মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাদের জেলার কোনও সমস্যার সমাধানে গুরুত্ব দেন না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলতে এলে আমাদের কথা শুনতে চান না। উনি মাত্র চার জনকে চেনেন। অথচ আমরা মুর্শিদাবাদের রয়েছি কুড়ি জন বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছে মুর্শিদাবাদের। কিন্তু উনি কোনও সমস্যার দিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেলে এ ব্যাপারে যাবতীয় বিষয় জানাবো। একইসঙ্গে অভিষেককে ডেপুটি করার ব্যাপারে আমি প্রস্তাবও দেব।”
হুমায়ুনের মন্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক কারবারিদের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে? তৈরি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পৃথক পৃথক অনুগামী?