কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলা হলে, জিভ কেটে নেওয়া হবে। হুমকি তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির (Idris Ali)। কৌস্তভের গ্রেফতারি বিতর্কে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলে, তার হাত পা জিভ কেটে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কত জনসমর্থন জানেন না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কত মানুষ ভালোবাসেন। অদ্বিতীয় তিনি, তিনি একজন জনপ্রিয় নেত্রী বলে জানান ইদ্রিস আলি। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাংসদ অধীর চৌধুরীর বক্তব্য আর তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, শেষ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির (Koustav Bagchi) মন্তব্য- গত কয়েকদিনে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। মধ্যরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বটতলা থানার পুলিশ। যদিও ৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্তি পান কংগ্রেস নেতা। জামিন পেয়ে মাথা মুড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতার নিয়ে জোর জলঘোলা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। কৌস্তভের গ্রেফতারির তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকেও। কৌস্তভের লড়াইকে কুর্নিশ জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট করার দাবি তোলে তৃণমূলের সমর্থকরা। পোস্টারও পড়ে। এই আবহেই তৃণমূলর বিধায়কের হুঁশিয়ারি ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
ইদ্রিস আলির এই মন্তব্যের বিষয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ইদ্রিস আলিকেই তৃণমূলের কর্মীরা অনুরাগের ছোঁয়া দিয়ে দিয়েছিল। প্রাণে বাঁচতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অতীতে একটি হিংসার ঘটনায় ফেঁসে গিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে, এখন তৃণমূল তাঁকে দলে নিয়েছে। তিনি তৃণমূলের ভাষা-সংস্কৃতি-রুচি পুরোটাই রপ্ত করে নিয়েছেন। এখন দলের মধ্যে টিআরপি বাড়াতে এসব কথা বলছেন।’
কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘উনি যেভাবে কথা বলছেন, মনে হচ্ছে আফগানিস্তানে কোনও তালিবান এসব কথা বলছেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর প্রথমে সাংসদ হলেন। তারপর ডিমোশন হয়ে বিধায়ক করল। এবার হয়ত দল কাউন্সিলর করবে। তাই হয়ত ডিমোশন থেকে বাঁচতে, দলকে খুশি করার জন্য এসব কথাবার্তা বলছেন।’