কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই পুলিশ দফতর। সেই পুলিশ দফতরের দায়িত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসার দাবি তুলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তা নিয়েই শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে চাপানউতোর। নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বও কি সামনে আসছে? হুমায়ুনের বক্তব্য খারিজ করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এবার হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
গতকাল অভিষেককে পুলিশমন্ত্রীর করার দাবি জানিয়ে হুমায়ুন বলেছিলেন, “ফুলটাইমের একজন পুলিশমন্ত্রী থাকলে, আমার মনে হয়, তাঁর নজর এড়িয়ে কোনও অপরাধ সংগঠিত হবে না।” হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে এদিন ফিরহাদ বলেন, “যারা এত কথা বলছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিক থেকে বলিষ্ঠ নেত্রী। তিনি এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।”
ফিরহাদের পর এবার মদন মিত্র হুমায়ুন কবীরকে আক্রমণ করলেন। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “আগে হুমায়ুনের মুখে লাগাম পরানো উচিত। অভিষেক পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। অভিষেককে যেখানে কাজে লাগানো হবে, তাতে গতি বেড়ে যাবে। কিন্তু কখন কোথায় তাঁকে কাজে লাগানো হবে, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। উনি আছেন তো।”
লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই দ্বন্দ্বই কি ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে? মদন বলেন, “৭০-৮০ বছরের পুরনো অনেক গাড়ি আছে, যা নতুন গাড়িকে হার মানাবে। কোনও প্রবীণ ব্যক্তি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যায়। মহাভারতের যুদ্ধে নবীন-প্রবীণ মিলেই লড়াই হয়েছিল। সেখানে কেউ বলেননি, ভীষ্ম, দ্রোণাচার্যদের দরকার নেই। প্রত্যেকের ভূমিকা ছিল। নবীনদের দরকার। কিন্তু, তাঁদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রবীণদের দরকার। তাঁদের অভিজ্ঞতা দরকার।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “নেত্রী ও সেকেন্ড ইন কম্যান্ড নিয়ে আমাদের দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বাকি সবাই কর্মী।”