কলকাতা: কয়লা পাচার-কাণ্ডে এবার আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব করল সিবিআই। শুক্রবারই তলব করা হয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে। এবার কয়লা- কেলেঙ্কারিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোগ সামনে এল। কয়লা পাচার হয়ে ওই জেলায় যেত বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই কারণেই সওকতকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- সহ শাসক দলের অনেকের নামই জড়িয়েছে এই কেলেঙ্কারিতে। আর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার দাপুটে নেতা সওকতের নাম সামনে এল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে বেআইনি কয়লা পাচার হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ইট ভাটায় যেত। লরিতে করে জেলায় পাঠানো হত সেই সব কয়লা আর সেই পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য তলব করা হয়েছে। ওই জেলায় কয়লা এলে তা আটকানোর চেষ্টা করতেন কি না, বিধায়ক হিসেবে কী ভূমিকা ছিল, এই সব প্রশ্নই করা হবে শওকতকে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে আগেও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, আসানসোল ও রাণীগঞ্জের একাধিক কয়লা খাদান থেকে অবৈধভাবে কয়লা তলা হত, আর সেই কয়লা তুলে পাঠানো হত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় তা পাঠানো হত। সেই সূত্র ধরেই সওকতকে তলব করা হয়েছে।
পরপর দু বার এই কেলেঙ্কারির জন্যই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে তাঁকে। তবে তিনি বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। তদন্তের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তবে এই মামলায় নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত একবারও হাজিরা দেননি অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা।