TMC: শুভেন্দুর মন্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’, বিদেশমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের
TMC: সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সাক্ষাৎ-পর্ব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। সেখানে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও সেখানে লিখেছিলেন তিনি।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কাছে নালিশ জানাল তৃণমূল। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সাক্ষাৎ-পর্ব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। সেখানে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও সেখানে লিখেছিলেন তিনি। এবার সেই ইস্যুটিকে হাতিয়ার করেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন তা অবমাননাকর। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সুসম্পর্কের জন্য দুই দেশের কূটনীতিক, অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তা নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ ডেরেকের।
ভারতের বিদেশনীতিতে যে শ্রীলঙ্কার বিশেষ জায়গা রয়েছে এবং কেন্দ্র যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশগুলির প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নীতি নিয়েছে, সে কথাও চিঠিতে লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ। শ্রীলঙ্কাকে এই অভূতপূর্ব সঙ্কটের পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে, ভারত যে সবসময় সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছে, তাও লিখেছেন ডেরেক। এমন অবস্থায় শুভেন্দুর মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেই মনে করছে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্য প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি ‘অসৌজন্য’ দেখানো হয়েছে বলেও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে লিখেছেন ডেরেক।
সামনেই পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে। সেখানে আমন্ত্রিত রয়েছে শ্রীলঙ্কাও। বিরোধী দলনেতা এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বিদেশমন্ত্রক যাতে অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং পশ্চিমবঙ্গ সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক ‘নষ্ট করার চেষ্টার’ নিন্দা করে, সেই দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
এস জয়শংকরকে পাঠানো ওই চিঠিতে ডেরেক আরও লিখেছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য যাতে বিনিয়োগ টানতে রাজ্য সরকারের চেষ্টাকে ব্যাহত করতে ব্যবহার না করা হয়।