Kalyan on Mahua: ‘লগ ইন আইডি শেয়ার করা যায় কি না তার কোনও আইন আছে?’ মহুয়া বিতর্কে প্রশ্ন কল্যাণের

Shrabanti Saha | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 09, 2023 | 4:21 PM

Kalyan on Mahua: শনিবার টিভি ৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বললেন, "পদ্ধতি মানা হলে এক কথা। পদ্ধতি মানা না হলে অন্য কথা। মহুয়ার ক্ষেত্রে তিনটি মানুষ যুক্ত। নিশিকান্ত দুবে আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করলেন। দর্শন হিরানন্দানির হলফনামা দিল।

Kalyan on Mahua: লগ ইন আইডি শেয়ার করা যায় কি না তার কোনও আইন আছে? মহুয়া বিতর্কে প্রশ্ন কল্যাণের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: এ রাজ্যে এই বোধহয় প্রথম যেখানে একজন বাঙালি সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। কথা হচ্ছে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। তবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হলেও তৃণমূল যে তাঁর পাশে রয়েছে সে বার্তা আগেই দিয়েছে দল। গতকালও ফুঁসে ওঠেন খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে ইঙ্গিতে সেকথাও বুঝিয়ে দেন নেত্রী। আজ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভাবে স্পিকার কি সাংসদ পদ খারিজ করতে পারেন? প্রশ্ন তুললেন তিনি।

শনিবার টিভি ৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বললেন, “পদ্ধতি মানা হলে এক কথা। পদ্ধতি মানা না হলে অন্য কথা। মহুয়ার ক্ষেত্রে তিনটি মানুষ যুক্ত। নিশিকান্ত দুবে, আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইর চিঠি দিয়ে অভিযোগ করলেন। দর্শন হিরানন্দানি হলফনামা দিলেন। এই হলফনামা থেকেই সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু খতিয়ে দেখা হবে তো? হিরানন্দানি কখনও এথিক্স কমিটিতে এলেন না বা ওনাকে ডাকাও হল না। সব থেকে বড় কথা মহুয়াকে সুযোগ দেওয়া হল না নিজের সপক্ষে কোনও কথা বলার। যা যা অভিযোগ উঠছে তা সত্য কি না তার প্রমাণ কী? হিরানন্দানি যে টাকা খরচ করছেন তারই প্রমাণ কী? আর লগ ইন আইডি শেয়ার করা যায় না এর কোনও আইন রয়েছে? এই আইন তো পার্লামেন্ট বানায়নি।”

মহুয়া মৈত্রর পাশে দল কেন শেষ পর্যায়ে দাঁড়াল? এ প্রসঙ্গে সাংসদ বলেছেন, “অভিযোগ ওকে কেন্দ্রিক। কিন্তু যখন পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা যদি অসাংবিধানিক হয় তখন তো বলতে হবে। শুধু মহুয়া নয়, অন্য কারোর ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ করত তৃণমূল।”

উল্লেখ্য, মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে গতকাল প্রতিবাদে নামেন এ রাজ্যের বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “এটা একটা স্টিং অপারেশন। সমস্ত তথ্য সামনে ছিল। একমুখী চিন্তা, কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা বদলা নেওয়ার ভাবনা। আমি ২ ডিসেম্বর চিঠি লিখেছিলাম। একটা তথ্য প্রমাণ ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেছেন, প্রত্যেকেই রাইট টু ডিফেন্স রয়েছে। মহুয়ার সম্পর্কে যিনি বলেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। মহুয়া মৈত্র যে ক্রস চেক করবেন, সেই সুযোগটাই দেওয়া হয়নি। তদন্তটাই হয়নি। আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত হল না। আর মহুয়ার বিরুদ্ধে চটজলদি একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁর পদ খারিজ করে দেওয়া হল।

 

Next Article