Sougata Roy Exclusive: কেন এক এলাকার বিধায়ক অন্য এলাকার কাজের তদারকিতে? তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিলেন সৌগত

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 04, 2023 | 6:05 PM

Sougata Roy: সৌগত রায় বললেন, "আমার ধারণা, তৃণমূলের নীচু তলার কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ভালই যোগাযোগ রাখেন। তবে তাঁদের কাজের পর্যালোচনা করার জন্য আমরা নতুন একটি পদ্ধতি করেছি।"

Sougata Roy Exclusive: কেন এক এলাকার বিধায়ক অন্য এলাকার কাজের তদারকিতে? তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিলেন সৌগত
সৌগত রায়

Follow Us

কলকাতা: তৃণমূলের নীচু তলার কর্মীদের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগ ভাল। এমনই দাবি বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy)। কিন্তু নীচু তলার কর্মী থেকে শুরু করে বিধায়ক-সাংসদরা এলাকায় কেমন কাজ করেছেন, সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করতে চায় দলীয় নেতৃত্ব। সেই কারণেই এক এলাকার বিধায়ক, অন্য এলাকায় গিয়ে সেখানকার বিধায়ক-নেতাদের কাজের খোঁজ নেবেন। জানাচ্ছেন সাংসদ সৌগত রায়। টিভি নাইন বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে শাসক দলের বর্ষীয়ান সাংসদ বললেন, “জনসাধারণের সঙ্গে নীচুতলার কর্মীদের কোনও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমার ধারণা, তৃণমূলের নীচু তলার কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ভালই যোগাযোগ রাখেন। তবে তাঁদের কাজের পর্যালোচনা করার জন্য আমরা নতুন একটি পদ্ধতি করেছি।”

সৌগত রায় বললেন, “শহরের কর্মীরা গ্রামে যাবেন। এটি বলেই দেওয়া আছে। বিধায়করা সেখানে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে যাবেন। কর্মীদের সঙ্গে আলাদা সভা করবেন। রাতে কোনও কর্মীর বাড়িতে নৈশভোজ সেরে রাত্রিযাপন করবেন। সবটাই অন্য এলাকার বিধায়ক। বিধায়কদের তাঁদের এলাকার বাইরে দশদিন সময় দিতে বলা হয়েছে নতুন জনসংযোগ প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য।” সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিধায়কের তো এলাকায় যোগাযোগ আছেই। কিন্তু তাঁর কাজের কীরকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা দেখার জন্য অন্য এলাকা থেকে বিধায়করা গিয়ে কর্মী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিলে তার পর্যালোচনা করবেন।”

সৌগত রায়ের দাবি, এত বড় কর্মসূচি এর আগে কখনও হয়নি। দলের সর্বস্তর মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্ত হবেন বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের স্থানীয় স্তরে একাধিক নেতার জীবন যাপনের মান, আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। সেই কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? জানতে চাওয়া হলে সৌগত রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতায় জীবন যাপন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাঁর নিজের জীবন যাপন কেমন, তাও বলেছেন। এতেই বার্তা চলে গিয়েছে। তৃণমূলের যাঁরা নেতা-কর্মী, তাঁদের জীবনযাত্রায় কোনও বাহুল্য থাকলে চলবে না।”

Next Article