কলকাতা: তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংগঠনিক স্তরে দায়িত্ব বাড়ল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy)। তৃণমূল কংগ্রেসের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তিনি। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এর আগে এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে ছিলেন পার্থ ভৌমিক। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার যে রদবদল করা হয়েছে, তাতে মমতার ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন পার্থ ভৌমিক। তারপর থেকে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদটি শূন্যই পড়ে ছিল। এবার সেই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে বসানো হল তাপস রায়কে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তাপস বাবু বলছেন, “অনেক বড় দায়িত্ব। এখানে ১৪টি বিধানসভা এবং দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর যখন মন্ত্রিসভার রদবদল হল, সেই সময় ক্যাবিনেটে তাপস রায় জায়গা পাবেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল অনেক। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে স্থান পাননি। বিগত দিনে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর মতান্তরের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। দলের অন্দরে বয়স সীমা স্থির করা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। এমন এক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরের নতুন দায়িত্ব পেলেন তাপস রায়। কানাঘুষো শোনা যায়, এই পদের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই নিমরাজি ছিলেন তিনি। তিনি নাকি উত্তর কলকাতার সভাপতি হতে চাইছিলেন। তবে পরিবর্তে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, অতীতে ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত, না নিয়েও সরব হয়েছিলেন তাপস রায়। ‘ছাত্র রাজনীতির অবক্ষয়’ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাপস রায় বরানগরের বিধায়ক। কিন্তু উত্তর কলকাতা এলাকার প্রতিটি অলিগলি তাঁর নখদর্পণে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কলকাতায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। বহুদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিক। এখন দেখার আগামী দিনে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালনে তিনি নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কতটা কাজে লাগান। তাঁর বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রও এই সাংগঠনিক জেলারই অন্তর্ভুক্ত।