কলকাতা: শহরে ফের সিবিআই তৎপরতা। বুধবার সন্ধেয় বিকাশ ভবনে (Bikash Bhawan) পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ সিবিআইয়ের (CBI) দুইজন আধিকারিক বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান। বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) ঘরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন সন্ধে সাড়ে সাতটারও বেশি সময় পর্যন্ত নিজের ঘরেই ছিলেন শিক্ষাসচিব। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এটি কোনও জিজ্ঞাসাবাদ নয়, কিছু তথ্য জানার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত এর আগেও সিবিআই গোয়েন্দারা বিকাশ ভবনে এসেছিলেন নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে। সেদিন তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের দফতরে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন এবং বেশ কিছু নথি সেদিন তাঁরা উদ্ধার করেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সংক্রান্ত নথিগুলির বিষয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য এদিন বিকাশ ভবনে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা বিকাশ ভবনে এসে পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাত ৮ টার কিছু পরে বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন। তবে কী কী বিষয় মনীশ জৈনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কথাবার্তা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সব বিষয়ে ইডি ও সিবিআই উভয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আলাদাভাবে তদন্তে নেমে পড়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। রাজ্যের অপর এক বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া রাজ্যের তৎকালীন একাধিক শিক্ষাকর্তাকেও গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের শিকড় থেকে রহস্য উদ্ঘাটনে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।