TV9 বাংলা: প্রশান্ত কিশোর একজন ‘সেলসম্যান’। কিন্তু ‘ব্র্যান্ড’ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে সেই ‘ব্র্যান্ড সেল’ করেছেন পিকে। তার জেরেই এই সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনটাই বলতে শোনা গেল বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেই ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে বসে তৃণমূলের জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি প্রশান্ত কিশোরকে দিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে বসেই পিকে-মমতা জুটির সাফল্যের ‘সিক্রেট ফর্মুলা’র কথা বললেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূলের রেকর্ড আসন নিয়ে জয়ের বিষয়ে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়নি, পিকে-র জন্য হয়েছে। আর পিকে পুরোপুরি অন্যায়ভাবে, মিথ্যা প্রচার করে সব জায়গায় জিতিয়েছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।” দিলীপের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সৌগত বলেন, “প্রশান্ত কিশোর হচ্ছেন ভাল সেলসম্যান। কিন্তু ব্র্যান্ডটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোর সেই ব্রান্ডটাকে সেল করতে সাহায্য করেছেন।”
একুশের ভোটে রাজনৈতিক মহলের যাবতীয় কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূলের ভোটকুশলীকে নিয়ে আরও বহু অজানা তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছেন সৌগতবাবু। তাঁর কথায়, “প্রশান্ত কিশোর হচ্ছেন অত্যন্ত চতুর একজন মার্কেটিং কনসালট্যান্ট (বিপণনের পরামর্শদাতা)। কী ভাবে একটা দল ও একজন ব্যক্তিকে মার্কেট করতে হয়, সেটা ওঁ জানে। এবং ওঁর পদ্ধতিটা ইউনিক। সহজাতভাবে প্রশান্ত অরাজনৈতিক। কোনও মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়। প্রশান্ত একটা আলাদা মেকানিজম (পদ্ধতি) তৈরি করেছে।”
পিকের কাজের পদ্ধতি ঠিক কী রকম ছিল, তারও ব্যাখ্য করেন সৌগতবাবু। “দেখলাম আইআইটি, আইআইএম পাশ করা ছেলেমেয়েদের এনে প্রশান্ত কাজ করিয়েছে। ফলে ও একটা নির্ভুল রিপোর্ট পাচ্ছিল, সেই মতো পদক্ষেপ করছিল এবং পরামর্শ দিচ্ছিল। এই মডেলটা ভারতে আগে কখনও আমি দেখিনি”, বলেন সৌগত।
ইদানীং জাতীয় রাজনীতিতেও হটকেক প্রশান্ত। কখনও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, কখনও বা গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর রুদ্ধদ্বার বৈঠক তাঁকে শিরোনামে নিয়ে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে সব বিরোধীদের এক সুতোয় বাঁধার কাজটা তিনিই করছেন। সৌগতবাবুও এই সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দেননি। একই সঙ্গে পিকে-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। যদিও পিকে-র কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা একেবারেই নস্যাৎ করেছেন সৌগত।
তিনি বলেন, “প্রশান্তকে আমি গভীরভাবে চিনি তেমনটা নয়, কিন্তু দেখে যতটা বুঝেছি, ওঁ হচ্ছে আদ্যন্ত পেশাদার। ওঁর কোনও রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ নেই। মোদীকে জেতানো দিয়ে শুরু করেছে, বিহারে নীতীশকে জিতিয়েছে। একসঙ্গে এখানে তৃণমূল ও তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনকে জিতিয়েছে। সুতরাং ওঁর কোনও রাজনৈতিক অবস্থান নেই। আমার মনে হয় ওঁ বড় করে ভাবছে। বিহারে একটা দল শুরু করবে। এবং মোদীর বিরুদ্ধে একটা জোট যাতে তৈরি হয় তার জন্য একটা ভূমিকা পালন করবে। সেটা করা এখন থেকেই শুরু করেছে।” আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে এবার আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় শুভেন্দুদের
TV9 বাংলা: প্রশান্ত কিশোর একজন ‘সেলসম্যান’। কিন্তু ‘ব্র্যান্ড’ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে সেই ‘ব্র্যান্ড সেল’ করেছেন পিকে। তার জেরেই এই সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনটাই বলতে শোনা গেল বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেই ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে বসে তৃণমূলের জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি প্রশান্ত কিশোরকে দিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে বসেই পিকে-মমতা জুটির সাফল্যের ‘সিক্রেট ফর্মুলা’র কথা বললেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূলের রেকর্ড আসন নিয়ে জয়ের বিষয়ে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়নি, পিকে-র জন্য হয়েছে। আর পিকে পুরোপুরি অন্যায়ভাবে, মিথ্যা প্রচার করে সব জায়গায় জিতিয়েছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।” দিলীপের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সৌগত বলেন, “প্রশান্ত কিশোর হচ্ছেন ভাল সেলসম্যান। কিন্তু ব্র্যান্ডটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোর সেই ব্রান্ডটাকে সেল করতে সাহায্য করেছেন।”
একুশের ভোটে রাজনৈতিক মহলের যাবতীয় কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূলের ভোটকুশলীকে নিয়ে আরও বহু অজানা তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছেন সৌগতবাবু। তাঁর কথায়, “প্রশান্ত কিশোর হচ্ছেন অত্যন্ত চতুর একজন মার্কেটিং কনসালট্যান্ট (বিপণনের পরামর্শদাতা)। কী ভাবে একটা দল ও একজন ব্যক্তিকে মার্কেট করতে হয়, সেটা ওঁ জানে। এবং ওঁর পদ্ধতিটা ইউনিক। সহজাতভাবে প্রশান্ত অরাজনৈতিক। কোনও মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়। প্রশান্ত একটা আলাদা মেকানিজম (পদ্ধতি) তৈরি করেছে।”
পিকের কাজের পদ্ধতি ঠিক কী রকম ছিল, তারও ব্যাখ্য করেন সৌগতবাবু। “দেখলাম আইআইটি, আইআইএম পাশ করা ছেলেমেয়েদের এনে প্রশান্ত কাজ করিয়েছে। ফলে ও একটা নির্ভুল রিপোর্ট পাচ্ছিল, সেই মতো পদক্ষেপ করছিল এবং পরামর্শ দিচ্ছিল। এই মডেলটা ভারতে আগে কখনও আমি দেখিনি”, বলেন সৌগত।
ইদানীং জাতীয় রাজনীতিতেও হটকেক প্রশান্ত। কখনও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, কখনও বা গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর রুদ্ধদ্বার বৈঠক তাঁকে শিরোনামে নিয়ে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে সব বিরোধীদের এক সুতোয় বাঁধার কাজটা তিনিই করছেন। সৌগতবাবুও এই সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দেননি। একই সঙ্গে পিকে-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। যদিও পিকে-র কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা একেবারেই নস্যাৎ করেছেন সৌগত।
তিনি বলেন, “প্রশান্তকে আমি গভীরভাবে চিনি তেমনটা নয়, কিন্তু দেখে যতটা বুঝেছি, ওঁ হচ্ছে আদ্যন্ত পেশাদার। ওঁর কোনও রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ নেই। মোদীকে জেতানো দিয়ে শুরু করেছে, বিহারে নীতীশকে জিতিয়েছে। একসঙ্গে এখানে তৃণমূল ও তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনকে জিতিয়েছে। সুতরাং ওঁর কোনও রাজনৈতিক অবস্থান নেই। আমার মনে হয় ওঁ বড় করে ভাবছে। বিহারে একটা দল শুরু করবে। এবং মোদীর বিরুদ্ধে একটা জোট যাতে তৈরি হয় তার জন্য একটা ভূমিকা পালন করবে। সেটা করা এখন থেকেই শুরু করেছে।” আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে এবার আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় শুভেন্দুদের