কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। এবার তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা, বদল হতে পারে তৃণমূলের একাধিক জেলা সভাপতি। প্রায় ৮-১০টি জেলার সভাপতি বদল হতে পারে বলে জল্পনা। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ পারফরম্যান্সের খেসারত দিতে হতে পারে একাধিক জেলা সভাপতিকে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, জল্পনায় নাম রয়েছে একাধিক জেলা সভাপতির। কোন জায়গায় কেন পরাজয়, স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ কী, সবটাই নজরে রেখে বদল আনা হবে। ভোটের হিসাব বলছে ৭৪টি পুর এলাকায় পিছিয়ে শাসকদল। বহু বিধানসভায় পিছিয়ে তারা। তবে সূত্রের খবর, যেখানে হার সেখানেই পরিবর্তন, রদবদলের ক্ষেত্রে এমন সরলীকরণের রাস্তায় হাঁটবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা সভাপতি বদলের চর্চায় কেন্দ্রবিন্দুতে পূর্ব মেদিনীপুরের নাম। এই জেলার দুই লোকসভাতেই পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। এই জেলায় বেশ কিছু নেতা বিরোধী দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখছেন বলে চর্চা তৃণমূলের অন্দরে। এই জেলায় সভাপতি বদল-সহ একাধিক সাংগঠনিক পদে বদল হতে পারে ।
সভাপতি বদল হতে পারে মালদহেরও। এই জেলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। সংগঠন কার্যত ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করছেন দলের কেউ কেউ। তাই এ জেলায় সাংগঠনিক খোলনলচে বদলের পরিকল্পনা রয়েছে শাসকদলের বলেই খবর। সভাপতি বদল হতে পারে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায়ও।
তাপস রায় দল ছাড়ার পর ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা এখন সভাপতি শূন্য। এখানেও বসানো হতে পারে নতুন মুখ। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় সভাপতি বদল নিয়েও চলছে চর্চা। এই দুই জেলাতেই বারংবার উদ্যোগ নিয়েও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এই দুই জেলায় সভাপতি-সহ জেলা সংগঠনে রদ বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও চর্চায় রয়েছে জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া জেলা। এই জেলায় তৃণমূল সংগঠনে আসতে পারে বড় রদবদল।