‘পিছন থেকে ছুরি মারা লোক শুভেন্দু’, বলল তৃণমূল
সুব্রত সাফ দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনই পিছন থেকে দলের পিঠে ছুরি মারা লোকেদের কখনও ঠাঁই দেয় না। সে কারণেই, শুভেন্দু দল ছাড়লেও এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে, এমনটা তাঁরা মানতে নারাজ।
কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শনিবার বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠক করে দলত্যাগী নেতাকে একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ফের প্রতিআক্রমণের পথে হাঁটল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল (TMC) ভবনে এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু-সহ গতকালের সভা থেকে অমিত শাহের কটাক্ষের বেছে বেছে জবাব দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সুব্রত সাফ দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনই পিছন থেকে দলের পিঠে ছুরি মারা লোকেদের কখনও ঠাঁই দেয় না। সে কারণেই, শুভেন্দু দল ছাড়লেও এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে, এমনটা তাঁরা মানতে নারাজ। বাংলার ইতিহাস যদি সত্যি হয় এবং এর মর্যাদা যদি থাকে, তবে এরা কোনওদিন বড় জায়গায় আসতে পারবে না। কাজেই গেল গেল রব তোলার কোনও দরকার নেই। আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন সুব্রত।
‘পিছন থেকে দলের পিঠে ছুরি মারা লোকেদের বাংলা কখনও ঠাঁই দেয় না, এরা কোনওদিন বড় জায়গায় আসতে পারবে না’#Subrata । #TV9Bangla pic.twitter.com/rdtD8Q9IZt
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) December 20, 2020
অমিত শাহের শান্তিনিকেতন সফরের মধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করার অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। সেই ইস্যুতেও এদিন শান দেন সুব্রত। সঙ্গে মেদিনীপুরের মঞ্চে অমিত শাহের করা দাবি ও বাস্তবের মধ্যের ফারাকটাও তুলে ধরার চেষ্টা তিনি করেন।
গতকাল রাজ্যবাসীকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন শাহ। তৃণমূল পাল্টা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খেলে বলে, এখানেও পাঁচ লক্ষ টাকার বীমার সুবিধে রয়েছে। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত দুবছর আগেই তা চালু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনার বার্ষিক ৬ হাজার টাকা না পাওয়া নিয়েও তোপ দেগেছিল অমিত। সুব্রত জবাবে বলেছেন, একর প্রতি বছরে ৫০০০ টাকা করে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে পান চাষিরা। অন্যদিকে পিএম কিষাণ যোজনায় একর প্রতি বছরে মেলে ১২১৪ টাকা।
আরও পড়ুন: মমতাকে ফোন শরদ পাওয়ারের, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার ডাক
বাংলার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে তো বটেই, রাজ্যে ঘটে চলা রাজনৈতিক হত্যা নিয়ে গতকাল অমিত শাহ সরব হন। রাজনৈতিক হিংসায় গত দেড় বছরে রাজ্যে ৩০০ বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। পাল্টা তৃণমূলের দাবিস আত্মহত্যার ঘটনাকেও বিজেপির নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক হিংসা বলে দাবি করছে। বিজেপির যে বর্তমান ১১৬ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা রয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় তৃণমূল।
অমিত শাহের তালিকায় দাবি ছিল আরও। তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী পাঠানোর খাদ্যশস্য তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের ব্যাগে ভরছেন। পাল্টা তৃণমূল জানায়, খাদ্যসাথী কর্মসূচির আওতায় ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সে জবাবে তৃণমূল জানায়, রাজ্য সরকার জেপি নাড্ডার জন্য জেড প্লাস সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। তবে। তিনি সেই সুরক্ষা বিধি লংঘন করেন।
আরও পড়ুন: ‘শিশিরদা আমাদের দাদা, ওঁ আমাদের ভাইপো, আমরা বলি ওঁকে হঠাও’, তৃণমূলে ফিরে বললেন মামুদ