Partha Chatterjee Arrested: অর্পিতা দলের কেউ না, পার্থকাণ্ডে ফের ওয়াশিং মেশিন তত্ত্ব, তবে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jul 23, 2022 | 7:52 PM

TMC : কুণাল ঘোষ বলেন, "বিচারে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে দলগতভাবে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে।"

Partha Chatterjee Arrested: অর্পিতা দলের কেউ না, পার্থকাণ্ডে ফের ওয়াশিং মেশিন তত্ত্ব, তবে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল
তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক

Follow Us

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে নগদ ২১ কোটি ২২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার সকালে পার্থ এবং অর্পিতা দুই জনকেই গ্রেফতার করছে ইডি। এই পরিস্থিতি জরুরিকালীন এক বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কুণাল বাবু এ দিন আবারও স্পষ্ট করে দেন, ওই টাকা উদ্ধারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। বললেন, “তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তিনি তৃণমূলের কেউ নন। যদি কারও নাম এসে থাকে, তিনি বা তাঁর আইনজীবীরা এই বিষয়ে উত্তর দিতে পারবেন।”

সেই সঙ্গে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে একটি সম্পর্কের কথা বলে গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আমরা খুব স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, তৃণমূল আইন ও আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রাখে। আদালতে বিষয়টি গিয়েছি। বিচারে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে দলগতভাবে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে।”

তৃণমূল মুখপাত্র আরও প্রশ্ন তোলেন, উদ্ধার হওয়া এই বিশাল অঙ্কের টাকার উৎস কী? এর পিছনে কী রয়েছে? পাশাপাশি যখন নোটবন্দি হয়েছিল, সেখানে এত বেআইনি নগদ কালো টাকা কীভাবে এল, তাও জানতে চান কুণাল। বলেন, “এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত দীর্ঘমেয়াদি হয়। শুধু গল্প না ছড়িয়ে এক মাস, দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতের কাছে পরিষ্কার বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে।”

পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন আবারও একবার ওয়াশিং মেশিন তত্ত্বের কথা তুলে ধরেন মমতার মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “দুই মাস আগে আদালত তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। দুই মাসের মধ্যে পার্থদা যদি ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে যেতেন, তাহলে আজ ইডি কিছু খুঁজে পেত না। তৃণমূলে ছিলেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে আমাকে জেলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু ওই একই মামলায় যিনি বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গেলেন, তাঁকে আজও তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়নি। বিজেপিতে গেলে সাধু, তৃণমূলে থাকলে চোর –  এই দ্বিচারিতা চলছে। দেশের এজেন্সগুলিকে বিজেপি রাডজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে।”

Next Article