কলকাতা: মাঝের ২ বছরের ব্যবধান। অতিমারি পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি হয়েছিল এই দু’বারের সভা। এবার ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ে সেই সভা হচ্ছে। মঞ্চ ত্রিস্তরীয়, নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘বৃষ্টি আমাদের শুভ। প্রতিবার ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি যখনই হয়, বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়।” এরপর মঞ্চে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। তৃণমূল দলটাই মিষ্টি। একুশ সালে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। একুশ কখনও মানুষকে ভুলতে দেয় না।’
চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভেঙে দিন। দেশে গরিবের প্রধানমন্ত্রী চাই। বিত্তবানের, বিবেগমানের প্রধানমন্ত্রী চাই: মমতা
বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষ গত সাত মাস ধরে কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। আরও কত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন আমার হকের টাকা বন্ধ করে দিলেন? ভোটে হেরেছেন বলে ভাতে মারার চেষ্টা করবেন? মমতা
আমি চাই ভারতে একটাই আদর্শবাদী দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নামে সাংস্কৃতিক তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতে একটাই হিম্মতদারী দল থাকুক, তার নামে তৃণমূল কংগ্রেস: মমতা
আমাদের নরেশ রয়েছে এখানে, বিধায়ক। ও লক্ষাধিক ভোটে জিতিয়েছিল, তাই ওকে লক্ষ্য নরেশ বলি। ওকে ফোন করে বলছে গদ্দাররা, নয়তো ইডি গ্রেফতার করবে: মমতা
২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৯ তারিখ হবে। সেদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণাঙ্কুর, দেবাংশু সবাইকে বলেছি, জমায়েত হবে। তার আগেও ৯ অগস্ট আছে। বিশ্ব আদিবাসী দিবস। ওদিন সব আদিবাসীদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন আবার মহরম রয়েছে। যা অনুষ্ঠান হবে, ১০ থেকে ১১টার মধ্যে করে দিতে হবে। ওদিন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন। ১টার পর মহরমের র্যালি বের হয়। কোনও ঝামেলা যেন না হয়। ১৪ অগস্ট দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান। ১৫ তারিখ সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা। পুজোর আগে পর্যন্ত প্রোগ্রাম তৈরি, এরপর দেখব কতটা মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছছেন, দল করছেন। আমি দেখতে চাই, আমার এমএলএ, এমপি-রা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারুন, তবে নিজেই চা খাওয়ান, অন্যের টাকায় খাবেন না। সাইকেল, রিক্সা চরে ঘুরুন: মমতা
সব পাবলিক সেক্টর হয়ে যাচ্ছে। সেনাদের বঞ্চনা করে অগ্নিপথ? গ্যাস বাড়ানোর সরকার, আর নেই দরকার: মমতা
বাংলার দিকে তাকিও না। বাংলায় রয়্য্যাল বেঙ্গল রয়েছে। বাংলার মানুষ মাথা নত করবে না: মমতা
মিষ্টি, চিড়ে, দইতেও জিএসটি, নকুলদানায় কত? হাসপাতালের বেডেও জিএসটি! আমরা খাব কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নাহলে বিজেপি বিদায় না। কলকাতা থেকে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স : মমতা
মুড়িতেও জিএসটি! মুড়ি খেয়ে জিএসটির প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডি, সিবিআই এলে মুড়ি খেতে দেবেন। সঙ্গে একটু তেল দেবেন। বলে দেবেন, এর জিএসটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
সিপিএমের একটা কাগজ রয়েছে. তাতে যাঁরা সাংবাদিক, তাঁদের সবার স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন। বিকাশবাবু, আপনাদের সময় কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন: মমতা
সব ব্যাপারে গদ্দারদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে হবে। গদ্দারবাবুরাই শুধু চাকরি পাবে আর সাধারণরা পাবে না? আমি জানতে চাই না কেন কোনও পার্টি করে। বাম আমলে চাকরি বিক্রি হয়েছে। ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে: মমতা
শিক্ষক নিয়োগও হবে। কোর্টে কেস চলছি তাই। তা নাহলে এখনও ১৭ হাজার পোস্ট এখনও রেডি আছে। দফতরও তৈরি। আদালতে মামলা চলছে বলে করতে পারছি না। আমরা চাই চাকরি হোক, ওরা চায় চাকরি না হোক। তাই ওরা কুটুস কুটুস করে কামড় দিচ্ছে। বলছে এখানে ভুল। আমি যদি তোমার রেল, কোল ইন্ডিয়া, সিভিল অ্যাভিয়েশন ধরি, তোমরা কি করেছ বাবা? সাধু পুরুষ।
আমার চ্যালেঞ্জ একদিকে কৃষি, অন্যদিকে শিল্প। জোর করে কারোর ঘর ভাঙব না, জমি দখল করব না। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। দেশে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চাষিদের ইনকামের দিক থেকে বাংলা প্রথম। বাংলার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ইনকাম। দেউচায় সেরা মানের কয়লা পাওয়া গিয়েছে। এক লক্ষ ছেলে মেয়ের চাকরি হবে দেউচায় : মমতা
একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। তৃণমূল দলটাই মিষ্টি। একুশ সালে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। একুশ কখনও মানুষকে ভুলতে দেয় না।
ঝড়জলও আপনাদের সরাতে পারেনি, মানুষের বৃষ্টি বিজেপিকে ভারত থেকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে। আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আছে, ওদের নেই : মমতা
মঞ্চে প্রবেশ করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল জুড়ে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি।
যদি কেউ ভাবে, যে মুখ দেখিয়ে পঞ্চায়েতের আসন পাব, দাদার জলের বোতল বয়ে পঞ্চায়েতের আসন পাব, এর ওর কাছের লোক হিসাবে আসন পাব, আপনাকে মানুষ যদি সার্টিফিকেট দেয়, তাহলেই টিকিট পাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মানুষের পাশে থাকলে, তবেই পঞ্চায়েতের আসন। নতুন তৃণমূলে ধান্দাবাজদের জায়গা নেই: অভিষেক
মোদী শাহের ঘোড়াকে বাংলায় বেঁধে রেখেছে মমতা। মায়ের সম্মান রক্ষার্থে যত দূর বুক চিতিয়ে যেতে হয় যাব। কী বলেছিল, আপকি বার ২০০ পার। মোদী ও শাহের অশ্বমেধের ঘোড়াকে বাংলায় বেঁধে রেখেছেন মমতা। তা চলতে পারছে না. মুখ থুবড়ে পড়ছে: অভিষেক
২০১৯ সালে যখন একুশের সভা করেছিলাম, আপনাদের মনে একটা আশঙ্কা ছিল, যে দলের প্রত্যাশিত ফল হবে কিনা, সেদিন জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম: অভিষেক
মঞ্চে অভিষেক। বৃষ্টি মাথায় মঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন অভিষেক। বললেন, “বৃষ্টি আমাদের শুভ। প্রতিবার ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি যখনই হয়, বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়।”
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছবেন সভাস্থলে। কিছুক্ষণ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির এলাকায় মুষুলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
শহিদদের বলিদান ঠিক কী বার্তা দেয়? এটাই বার্তা দেয় যে, খামোস, মিজাজি তুমহে জিনে নেহি দেগি, ইস জমানা মে রহনা হ্যয় তো কোহরাম মাচা দো।”দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখুন, কয়েকদিন আগে ধনতন্দ্র ও সরকারিতন্দ্রকে কাজে লাগিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিলেন, আপনার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশের গৌরব। হুইলচেয়ারে বসে যেভাবে বিজেপিকে উৎখাত করেছেন, তাতে তিনি এক রোড মডেল তৈরি হয়েছেন : শক্রঘ্ন সিনহা
একুশে জুলাই, কলকাতার রাস্তায় যেন উৎসবের মেজাজ। ইকোপার্কের অবস্থা দেখলেই তা বোঝা যায়। ইকোপার্কে রীতিমত চলছে মোচ্ছব। মাইক বাজিয়ে গান চালিয়ে চলছে নাচ। এককথায় যেন পিকনিকের মুডে তৃণমূল সমর্থকরা। হাজার-হাজার সমর্থক ভিড় করেছেন ইকো পার্কের সামনে। সকাল থেকে চলছে খাওয়া-দাওয়া।ডিম, চিকেন দিয়ে চলছে ভূরিভোজন।
একুশের সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
সভাস্থলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। তিনি বলেন, “এত উন্মাদনা আগে কখনও দেখিনি। প্রতিবারই লাখো লাখো মানুষ ভিড় করেন। তবে এবার চাপটা বেশি। তার দুটো কারণ। গত দু’বছরে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। আর এখন বিরোধী শক্তি বলে কিছু নেই। “
সভাস্থলে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো গাড়িতে তিনি সভাস্থলে পৌঁছন।
থিক থিক করছে মানুষের মাথা। মঞ্চে বক্তব্য রাকছেন সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, “পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৩ জন সহকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। এই দিনটা ভোলার নয়।”
ভিড়ের চাপ, তার ওপর ধর্মতলামুখী বাসের চাপ। বন্ধ করে দেওয়া হল এজেসি বোস রোডের একাংশ। এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের গেটের সামনে থেকে শিয়ালদহ হয়ে মৌলালিমুখী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল। এই রাস্তায় বাস পার্কিং করানো হচ্ছে।
শহিদ দিবসে শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্ঠ আরও বেশি জোরাল, আরও বেশি মাথা উঁচু করে লড়বার বার্তা দিলেন দলের কর্মীদের। ২১ জুলাই ইতিহাসের একটি পবিত্র দিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
21st July is a sacrosanct day in the history of Bengal!
I offer my heartfelt tribute to the 13 martyrs who lost their lives owing to police brutalities in 1993.
This #ShahidDibas, let our voices be louder – we will not be cowed down by any force! For people, we’ll give our all.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 21, 2022
বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে ধর্মতলায় ঢোকার কথা রয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৈরি হয়েছে ভিভিআইপি গেট। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছে।
একুশের সমাবেশকে । শিয়ালদহ থেকে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলামুখী পরের পর মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে ভোর ৬টা থেকেই। জনস্রোত এস এন ব্যানার্জি রোডে। আপনাকে তো কাজে যেতেই হবে, যাবেন কোন পথে? কোন কোন রাস্তায় মিছিল আছে জানেন? কোন কোন রাস্তা ওয়ানওয়ে? দেখে নিন। বিস্তারিত পড়ুন: 21st July Rally: আজ তো বেরোতেই হচ্ছে, যাবেন কোন রাস্তায়? কলকাতার কোন কোন রাস্তা বন্ধ, কোনটা ওয়ানওয়ে?
সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকায় করে বহু মানুষ আসতে শুরু করেছে মূল ভূখণ্ডে। গাড়িতে ক্যানিং, আবার ক্যানিং স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে উপস্থিত হবেন ধর্মতলায়। একুশে জুলাইয়ের মেগা শো-এর সাক্ষী হবেন দ্বীপের বাসিন্দারাও।
শিয়ালদহ থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা যাওয়ার জন্য যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে একের পর এক মিছিল ধর্মতলার দিকে এগোচ্ছে।
শহিদদের উদ্দেশে ভাটপাড়ায় হচ্ছে তর্পণ। ভাটপাড়ার বলরামঘাটে তর্পণ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন ভাটপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তর্পণ শেষ করে ধর্মতলার সমাবেশে যাবেন তিনি। এই ভাটপাড়ারই ছেলে কেশব বৈরাগী-সহ ১৩ জন শহিদের উদ্দেশে তর্পণ হয়।
রেকর্ড ভাঙা জমায়েতের আশা তৃণমূল নেতৃত্বের। ধর্মতলার সভাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ও ট্রাফিকের দায়িত্বে ১৭ জন ডিসি। সভাস্থলের আশপাশের এলাকাকে ১৫ জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে এক জন করে ডিসি। ১৯ জায়গায় বসানো হয়েছে বিশেষ পিকেট। বহুতল থেকে টানা নজরদারি পুলিশের। একাধিক রাস্তায় ইতিমধ্যেই যান নিয়ন্ত্রণ পুলিশের।
এবারের ২১-এর মঞ্চে যোগ দেবেন মতুয়ারাও। মেগা ইভেন্টে কী বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী, চাক্ষুষ দেখতে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রায় পাঁচ হাজার সমর্থক।
ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু জায়গা দখল। সামনে বসতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে হবে। তাই কেউ বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে তো কেউ বিকেল থেকে এসে বসে রয়েছেন স্টেজের সামনে। রাতভর খোলা আকাশের নীচেই। ভোর সাড়ে চারটেতেই ভিড় চৌরঙ্গী হোটেল ছাড়িয়েছে।
একুশে জুলাই, শহরের রাস্তায় যেন উৎসবের মেজাজ। স্ট্যান্ড রোডে রাস্তা জুড়ে চড়ুইভাতির অনুষ্ঠান। বেগুনি, ফুলুরি তার সঙ্গে মুড়ি, সকালের টিফিন। দুপুরের জন্য মুরগির মাংস। একুশে জুলাই মঞ্চে যাওয়ার জন্য মুরগিদেরও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পেট পুজোর জন্য। সঙ্গে দই মিষ্টি তো আছেই। জমিয়ে পেট পুরে খাবার পরেই তাদের গন্তব্য ধর্মতলা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ। শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য।
কলকাতা: মাঝের ২ বছরের ব্যবধান। অতিমারি পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি হয়েছিল এই দু’বারের সভা। এবার ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ে সেই সভা হচ্ছে। মঞ্চ ত্রিস্তরীয়, নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘বৃষ্টি আমাদের শুভ। প্রতিবার ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি যখনই হয়, বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়।” এরপর মঞ্চে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। তৃণমূল দলটাই মিষ্টি। একুশ সালে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। একুশ কখনও মানুষকে ভুলতে দেয় না।’
চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভেঙে দিন। দেশে গরিবের প্রধানমন্ত্রী চাই। বিত্তবানের, বিবেগমানের প্রধানমন্ত্রী চাই: মমতা
বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষ গত সাত মাস ধরে কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। আরও কত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন আমার হকের টাকা বন্ধ করে দিলেন? ভোটে হেরেছেন বলে ভাতে মারার চেষ্টা করবেন? মমতা
আমি চাই ভারতে একটাই আদর্শবাদী দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নামে সাংস্কৃতিক তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতে একটাই হিম্মতদারী দল থাকুক, তার নামে তৃণমূল কংগ্রেস: মমতা
আমাদের নরেশ রয়েছে এখানে, বিধায়ক। ও লক্ষাধিক ভোটে জিতিয়েছিল, তাই ওকে লক্ষ্য নরেশ বলি। ওকে ফোন করে বলছে গদ্দাররা, নয়তো ইডি গ্রেফতার করবে: মমতা
২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৯ তারিখ হবে। সেদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণাঙ্কুর, দেবাংশু সবাইকে বলেছি, জমায়েত হবে। তার আগেও ৯ অগস্ট আছে। বিশ্ব আদিবাসী দিবস। ওদিন সব আদিবাসীদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন আবার মহরম রয়েছে। যা অনুষ্ঠান হবে, ১০ থেকে ১১টার মধ্যে করে দিতে হবে। ওদিন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন। ১টার পর মহরমের র্যালি বের হয়। কোনও ঝামেলা যেন না হয়। ১৪ অগস্ট দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান। ১৫ তারিখ সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা। পুজোর আগে পর্যন্ত প্রোগ্রাম তৈরি, এরপর দেখব কতটা মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছছেন, দল করছেন। আমি দেখতে চাই, আমার এমএলএ, এমপি-রা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারুন, তবে নিজেই চা খাওয়ান, অন্যের টাকায় খাবেন না। সাইকেল, রিক্সা চরে ঘুরুন: মমতা
সব পাবলিক সেক্টর হয়ে যাচ্ছে। সেনাদের বঞ্চনা করে অগ্নিপথ? গ্যাস বাড়ানোর সরকার, আর নেই দরকার: মমতা
বাংলার দিকে তাকিও না। বাংলায় রয়্য্যাল বেঙ্গল রয়েছে। বাংলার মানুষ মাথা নত করবে না: মমতা
মিষ্টি, চিড়ে, দইতেও জিএসটি, নকুলদানায় কত? হাসপাতালের বেডেও জিএসটি! আমরা খাব কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নাহলে বিজেপি বিদায় না। কলকাতা থেকে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স : মমতা
মুড়িতেও জিএসটি! মুড়ি খেয়ে জিএসটির প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডি, সিবিআই এলে মুড়ি খেতে দেবেন। সঙ্গে একটু তেল দেবেন। বলে দেবেন, এর জিএসটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
সিপিএমের একটা কাগজ রয়েছে. তাতে যাঁরা সাংবাদিক, তাঁদের সবার স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন। বিকাশবাবু, আপনাদের সময় কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন: মমতা
সব ব্যাপারে গদ্দারদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে হবে। গদ্দারবাবুরাই শুধু চাকরি পাবে আর সাধারণরা পাবে না? আমি জানতে চাই না কেন কোনও পার্টি করে। বাম আমলে চাকরি বিক্রি হয়েছে। ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে: মমতা
শিক্ষক নিয়োগও হবে। কোর্টে কেস চলছি তাই। তা নাহলে এখনও ১৭ হাজার পোস্ট এখনও রেডি আছে। দফতরও তৈরি। আদালতে মামলা চলছে বলে করতে পারছি না। আমরা চাই চাকরি হোক, ওরা চায় চাকরি না হোক। তাই ওরা কুটুস কুটুস করে কামড় দিচ্ছে। বলছে এখানে ভুল। আমি যদি তোমার রেল, কোল ইন্ডিয়া, সিভিল অ্যাভিয়েশন ধরি, তোমরা কি করেছ বাবা? সাধু পুরুষ।
আমার চ্যালেঞ্জ একদিকে কৃষি, অন্যদিকে শিল্প। জোর করে কারোর ঘর ভাঙব না, জমি দখল করব না। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। দেশে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চাষিদের ইনকামের দিক থেকে বাংলা প্রথম। বাংলার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ইনকাম। দেউচায় সেরা মানের কয়লা পাওয়া গিয়েছে। এক লক্ষ ছেলে মেয়ের চাকরি হবে দেউচায় : মমতা
একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। তৃণমূল দলটাই মিষ্টি। একুশ সালে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। একুশ কখনও মানুষকে ভুলতে দেয় না।
ঝড়জলও আপনাদের সরাতে পারেনি, মানুষের বৃষ্টি বিজেপিকে ভারত থেকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে। আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আছে, ওদের নেই : মমতা
মঞ্চে প্রবেশ করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল জুড়ে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি।
যদি কেউ ভাবে, যে মুখ দেখিয়ে পঞ্চায়েতের আসন পাব, দাদার জলের বোতল বয়ে পঞ্চায়েতের আসন পাব, এর ওর কাছের লোক হিসাবে আসন পাব, আপনাকে মানুষ যদি সার্টিফিকেট দেয়, তাহলেই টিকিট পাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মানুষের পাশে থাকলে, তবেই পঞ্চায়েতের আসন। নতুন তৃণমূলে ধান্দাবাজদের জায়গা নেই: অভিষেক
মোদী শাহের ঘোড়াকে বাংলায় বেঁধে রেখেছে মমতা। মায়ের সম্মান রক্ষার্থে যত দূর বুক চিতিয়ে যেতে হয় যাব। কী বলেছিল, আপকি বার ২০০ পার। মোদী ও শাহের অশ্বমেধের ঘোড়াকে বাংলায় বেঁধে রেখেছেন মমতা। তা চলতে পারছে না. মুখ থুবড়ে পড়ছে: অভিষেক
২০১৯ সালে যখন একুশের সভা করেছিলাম, আপনাদের মনে একটা আশঙ্কা ছিল, যে দলের প্রত্যাশিত ফল হবে কিনা, সেদিন জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম: অভিষেক
মঞ্চে অভিষেক। বৃষ্টি মাথায় মঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন অভিষেক। বললেন, “বৃষ্টি আমাদের শুভ। প্রতিবার ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি যখনই হয়, বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়।”
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছবেন সভাস্থলে। কিছুক্ষণ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির এলাকায় মুষুলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
শহিদদের বলিদান ঠিক কী বার্তা দেয়? এটাই বার্তা দেয় যে, খামোস, মিজাজি তুমহে জিনে নেহি দেগি, ইস জমানা মে রহনা হ্যয় তো কোহরাম মাচা দো।”দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখুন, কয়েকদিন আগে ধনতন্দ্র ও সরকারিতন্দ্রকে কাজে লাগিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিলেন, আপনার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশের গৌরব। হুইলচেয়ারে বসে যেভাবে বিজেপিকে উৎখাত করেছেন, তাতে তিনি এক রোড মডেল তৈরি হয়েছেন : শক্রঘ্ন সিনহা
একুশে জুলাই, কলকাতার রাস্তায় যেন উৎসবের মেজাজ। ইকোপার্কের অবস্থা দেখলেই তা বোঝা যায়। ইকোপার্কে রীতিমত চলছে মোচ্ছব। মাইক বাজিয়ে গান চালিয়ে চলছে নাচ। এককথায় যেন পিকনিকের মুডে তৃণমূল সমর্থকরা। হাজার-হাজার সমর্থক ভিড় করেছেন ইকো পার্কের সামনে। সকাল থেকে চলছে খাওয়া-দাওয়া।ডিম, চিকেন দিয়ে চলছে ভূরিভোজন।
একুশের সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
সভাস্থলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। তিনি বলেন, “এত উন্মাদনা আগে কখনও দেখিনি। প্রতিবারই লাখো লাখো মানুষ ভিড় করেন। তবে এবার চাপটা বেশি। তার দুটো কারণ। গত দু’বছরে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। আর এখন বিরোধী শক্তি বলে কিছু নেই। “
সভাস্থলে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো গাড়িতে তিনি সভাস্থলে পৌঁছন।
থিক থিক করছে মানুষের মাথা। মঞ্চে বক্তব্য রাকছেন সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, “পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৩ জন সহকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। এই দিনটা ভোলার নয়।”
ভিড়ের চাপ, তার ওপর ধর্মতলামুখী বাসের চাপ। বন্ধ করে দেওয়া হল এজেসি বোস রোডের একাংশ। এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের গেটের সামনে থেকে শিয়ালদহ হয়ে মৌলালিমুখী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল। এই রাস্তায় বাস পার্কিং করানো হচ্ছে।
শহিদ দিবসে শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্ঠ আরও বেশি জোরাল, আরও বেশি মাথা উঁচু করে লড়বার বার্তা দিলেন দলের কর্মীদের। ২১ জুলাই ইতিহাসের একটি পবিত্র দিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
21st July is a sacrosanct day in the history of Bengal!
I offer my heartfelt tribute to the 13 martyrs who lost their lives owing to police brutalities in 1993.
This #ShahidDibas, let our voices be louder – we will not be cowed down by any force! For people, we’ll give our all.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 21, 2022
বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে ধর্মতলায় ঢোকার কথা রয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৈরি হয়েছে ভিভিআইপি গেট। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছে।
একুশের সমাবেশকে । শিয়ালদহ থেকে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলামুখী পরের পর মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে ভোর ৬টা থেকেই। জনস্রোত এস এন ব্যানার্জি রোডে। আপনাকে তো কাজে যেতেই হবে, যাবেন কোন পথে? কোন কোন রাস্তায় মিছিল আছে জানেন? কোন কোন রাস্তা ওয়ানওয়ে? দেখে নিন। বিস্তারিত পড়ুন: 21st July Rally: আজ তো বেরোতেই হচ্ছে, যাবেন কোন রাস্তায়? কলকাতার কোন কোন রাস্তা বন্ধ, কোনটা ওয়ানওয়ে?
সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকায় করে বহু মানুষ আসতে শুরু করেছে মূল ভূখণ্ডে। গাড়িতে ক্যানিং, আবার ক্যানিং স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে উপস্থিত হবেন ধর্মতলায়। একুশে জুলাইয়ের মেগা শো-এর সাক্ষী হবেন দ্বীপের বাসিন্দারাও।
শিয়ালদহ থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা যাওয়ার জন্য যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে একের পর এক মিছিল ধর্মতলার দিকে এগোচ্ছে।
শহিদদের উদ্দেশে ভাটপাড়ায় হচ্ছে তর্পণ। ভাটপাড়ার বলরামঘাটে তর্পণ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন ভাটপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তর্পণ শেষ করে ধর্মতলার সমাবেশে যাবেন তিনি। এই ভাটপাড়ারই ছেলে কেশব বৈরাগী-সহ ১৩ জন শহিদের উদ্দেশে তর্পণ হয়।
রেকর্ড ভাঙা জমায়েতের আশা তৃণমূল নেতৃত্বের। ধর্মতলার সভাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ও ট্রাফিকের দায়িত্বে ১৭ জন ডিসি। সভাস্থলের আশপাশের এলাকাকে ১৫ জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে এক জন করে ডিসি। ১৯ জায়গায় বসানো হয়েছে বিশেষ পিকেট। বহুতল থেকে টানা নজরদারি পুলিশের। একাধিক রাস্তায় ইতিমধ্যেই যান নিয়ন্ত্রণ পুলিশের।
এবারের ২১-এর মঞ্চে যোগ দেবেন মতুয়ারাও। মেগা ইভেন্টে কী বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী, চাক্ষুষ দেখতে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রায় পাঁচ হাজার সমর্থক।
ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু জায়গা দখল। সামনে বসতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে হবে। তাই কেউ বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে তো কেউ বিকেল থেকে এসে বসে রয়েছেন স্টেজের সামনে। রাতভর খোলা আকাশের নীচেই। ভোর সাড়ে চারটেতেই ভিড় চৌরঙ্গী হোটেল ছাড়িয়েছে।
একুশে জুলাই, শহরের রাস্তায় যেন উৎসবের মেজাজ। স্ট্যান্ড রোডে রাস্তা জুড়ে চড়ুইভাতির অনুষ্ঠান। বেগুনি, ফুলুরি তার সঙ্গে মুড়ি, সকালের টিফিন। দুপুরের জন্য মুরগির মাংস। একুশে জুলাই মঞ্চে যাওয়ার জন্য মুরগিদেরও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পেট পুজোর জন্য। সঙ্গে দই মিষ্টি তো আছেই। জমিয়ে পেট পুরে খাবার পরেই তাদের গন্তব্য ধর্মতলা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ। শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য।