কলকাতা: যাদবপুরের হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ‘মার্ক্সবাদীদের’ খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, যে যাদবপুর একসময় রাজ্যের গর্বের জায়গা ছিল, সেই যাদবপুর এখন ‘আতঙ্কপুর’ হয়ে উঠেছে। আর এবার দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে সরব তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘ওই জায়গাটিকে যেন কেউ কেউ ব্যতিক্রমী দ্বীপের মতো করে রেখেছে।’ তাঁর বক্তব্য়, যাদবপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যা। যাদবপুরের ঘটনাকে নিষ্ঠুরতম ও মর্মান্তিক ঘটনা বলেই মনে করছেন কুণাল। বললেন, ‘এখানে র্যাগিং নামক বর্বরোচিত জিনিসটি চলছিল। বহু লোকের সামনে চলছিল। একজনও বলতে পারল না, না এটা করিস না। একজনও এগিয়ে এল না, যে ছেলেটাকে বুক দিয়ে আগলে রাখবে। এই কুৎসিত সংস্কৃতি চলছিল।’
ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল গঠন করেছে তৃণমূল। আগামিকাল তাঁরা নদিয়ার বগুলায় মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাবেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সায়নী ঘোষরা। আগামিকাল তাঁরা যাবেন মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে। তার আগে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র বার বার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, দল ওই পরিবারের পাশে রয়েছে। বললেন, ‘দোষীদের শাস্তি চাই। যাঁরা দোষীদের আড়াল করছেন, তাঁদের শাস্তি চাই।’ একইসঙ্গে এই সামগ্রিক সিস্টেমের সংশোধনের দাবিতেও সরব হলেন কুণাল ঘোষ।
অতীতে যাদবপুরের বিভিন্ন আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিকেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ‘এর আগে আন্দোলনের নামে অসভ্যতা দেখিয়েছে তারা। অন্তর্বাস পরে আন্দোলন, বাবুল সুপ্রিয়কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ… যা ইচ্ছে তাই করে বেড়িয়েছে।’