কথা হয়েছে পিকের সঙ্গে, এক ঢিলে সব ‘ক্ষোভ’ মারতে চায় তৃণমূল

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 14, 2021 | 12:24 PM

TMC: একদিনে ঘোষণা করলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, মান-অভিমান অনেকাংশে প্রকাশ্যে আসবে না। তা দানা বাঁধা সম্ভব হবে না।

কথা হয়েছে পিকের সঙ্গে, এক ঢিলে সব ক্ষোভ মারতে চায় তৃণমূল
তৃণমূল যুবতে পরিবর্তন

Follow Us

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: লক্ষ্য ২০২৪! এবার দলের জেলা বা ব্লক অথবা পুর কিংবা পঞ্চায়েত স্তর- সর্বত্রই রদবদল করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল শিবির। সে ক্ষেত্রে দলের মূল সংগঠন যেমন রয়েছে, তেমনই পরিবর্তন হবে যুবতে। বাদ যাবে না ছাত্র বা মহিলা বা অন্য কোনও শাখা সংগঠনও। আর সেই সব পরিবর্তন যথা সম্ভব একদিনেই করতে চান তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তর। তা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন এ রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা।

কঠিন লড়াইয়ের পরে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। বিধানসভায় এই বিপুল জয়ের পর তৃণমূলকে নিয়ে অনান্য রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির আগ্রহ বেড়েছে। ‘ব্র্যান্ড মমতা’য় শান দিয়ে এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল।

এই পরিস্থিতিতে দলের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন করে নেওয়া কিয়দংশে সুবিধাজনক। সে কাজই দ্রুত সারতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তার মাঝেও ক্ষোভ, অসন্তোষ, অভিমান ডালপালা মেলবে, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতৃত্ব। সে কারণে সাংগঠনিক পরিবর্তনের ঘোষণা যথা সম্ভব একদিনেই করতে চান তাঁরা। এই ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে আলোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তর।

কেন এই ভাবনা?

একদিনে ঘোষণা করলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, মান-অভিমান অনেকাংশে প্রকাশ্যে আসবে না। তা দানা বাঁধা সম্ভব হবে না। এমনকি, সংবাদমাধ্যমের পক্ষে এই সব বিষয়কে সামনে আনা সম্ভব হবে না। কারণ, সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই তাঁদের খবর করতে হবে। ফলে অনেক কিছুই পিছনে চলে যাবে।

সাংগঠনিক রদবদলে বাদ পড়ে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রাগ, অভিমান হবে, তার আঁচ ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্র মারফত পেতে শুরু করেছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তর। কারণ, বাদ পড়া তালিকায় চর্চায় থাকা বিভিন্ন নেতা-কর্মী তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে মত দিয়েছেন।

তবে দলের জেলা সামলানো বিভিন্ন বর্ষীয়ান নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পুর্নবাসনের ভাবনা রয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। সে ক্ষেত্রে পদ মর্যাদা ‘বড়’। কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে কম গুরুত্বপূর্ণ। বাদ পড়া নেতা কর্মীদের এমন পদে আগামীতে দেখা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে দলের পরবর্তী প্রজন্ম অংশকে সামনে আনতে চান দলের সর্বোচ্চ স্তর। তাঁদের মতে, কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন পদে থাকলেও নিজেদের ‘উন্নতি’তে বেশি মনযোগী ছিলেন। ওই নেতা কর্মীদের কাছে অনেক সময় ‘ব্রাত্য’ ছিল দল। সেই ধরনের কাউকে আর বহন করে নিয়ে চলা দলের পক্ষে সম্ভব নয়, তা স্থির করেছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: ‘দলে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন অধীর’, কড়া চিঠি দিয়ে পদত্যাগ সোমেন-পুত্রের

Next Article