শহরবাসীর অবসাদ কাটাতে শীঘ্রই হেল্পলাইন নম্বর চালু কলকাতা পুলিসের
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিস এলাকায় আত্মহত্যা করেছিলেন প্রায় ৩০০ জন। গত বছর মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পরই আত্মহত্যার ঘটনা বাড়তে থাকে।
সুপ্রিয় গুহ: মনের হদিশ কে বা জানে! আর তা জানে না বলেই চোরাগোপ্তা সেখানে বাসা গড়ে নানা ‘অসুখ’। ধীরে ধীরে সে অসুখে ডুবতে থাকে আমাদের শরীর, মন। এক অদ্ভূত অবসাদ ঘিরে ফেলে কুয়াশার মতো। সেই অবসাদ থেকে শহরবাসীকে তুলে আনতে এবার হাত বাড়াচ্ছে কলকাতা পুলিস। চালু করতে চলেছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর।
শহরের যে কোনও প্রান্তের নাগরিক এই হেল্পলাইনে ফোন করলেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে কলকাতা পুলিস। নম্বরটি চালু হলে প্রত্যেকটি থানায় তা জানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ সেই নম্বরে ফোন করলে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবে থানা। প্রয়োজনে মন নিয়ে যাঁরা অনবরত নাড়াচাড়া করেন সেইসব মনোবিদদের সাহায্য নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: একুশের ভোটের আগে পিকের ‘পঞ্চবাণ’, পাঁচ জেলায় বিশেষ নজর তৃণমূলের
গত কয়েক বছরে শহরে যতগুলি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তার অন্যতম কারণ এই মানসিক অবসাদ। ইতিমধ্যেই লালবাজারের কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিস এলাকায় আত্মহত্যা করেছিলেন প্রায় ৩০০ জন।
গত বছর মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পরই আত্মহত্যার ঘটনা বাড়তে থাকে। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কলকাতা পুলিসের আওতাধীন এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৫০টির মতো। এরপরও ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ৩০টিরও বেশি।
অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, সম্পর্কের চড়াই উতরাই সবটাই থাবা বসায় মানুষের সাদামাটা মনের ঘরে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অবসাদ। সেখান থেকেই ঘন ঘন মন খারাপ। বাড়ে একাকিত্ব। মুঠোবন্দি কফির কাপ। সবসময় মনের অবচেতনে ঘুরপাক খায় ‘ডিপ্রেশনের বাংলা জানি, মনখারাপ।’