রাজারহাট: ভোটের ময়দান নাকি খেলার মাঠ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজারহাট বিষ্ণুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভোট হল। গণনা (Panchayat Election Results) হল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জয় ঘোষণা হল টসের মাধ্যমে। তাও আবার হল বিডিও অফিসের আধিকারিকের সামনে। এই ছবি দেখা গিয়েছে রাজারহাট বিষ্ণুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৮ নম্বর সংসদে। এখানেই বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন সমীর দাস। একসময় তিনি আবার তৃণমূল করেছেন। তাঁর লড়াই বিষ্ণুপুর ১-এর পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জন দাসের অনুগামী সুব্রত দাসের বিরুদ্ধে।
এদিন সকাল থেকে শিক্ষা নিকেতন স্কুলে শুরু হয় গণনা। শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সমীর দাস। এদিকে ওই বুথে আবার ৩০টি ব্যালট বাতিলও হয়েছিল। তারপরেও একটি ভোটে এগিয়ে ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে আচমকা কাউন্টিং এজেন্টকে ধাক্কা দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর। ছিঁড়ে ফেলা হয় একটি ব্যালট। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সূত্রের খবর, যখন এ ঘটনা ঘটছে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও দপ্তরের আধিকারিক সম্রাট বসু। পরবর্তীতে জয়ী প্রার্থী ঠিক করতে জোর করে টস করা হয় বলে দাবি সমীর বাবুর। তাতেই জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত দাস। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সমীরবাবু।
কী করে বিডিও অফিসের আধিকারিকদের সামনে কাউন্টিং হয়ে যাওয়া ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা যায় সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপি প্রার্থী। আগামীতে এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে যাবেন হাইকোর্টে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত দাস তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁদের দুজনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৪১৩। এরপরই যখন টসের সিদ্ধান্ত হয় তা সকলেই মেনে নিয়েছিলেন। ইচ্ছা না থাকলে বিজেপি কেন সেই সিদ্ধান্ত মেনেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।