কলকাতা: এক্স হ্যান্ডেলে রাজনৈতিক পরিচয় মুছতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদও ছেড়েছেন বলে খবর শোনা গিয়েছিল। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে তিনি পদ ছাড়ার কথা জানিয়েও ছিলেন বলে খবর। যদিও কুণাল ঘোষের তরফে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তা এল। লিখলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। তৃণমূল কংগ্রেস আমার দল।’
আমি @AITCofficial এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। @MamataOfficial আমার নেত্রী, @abhishekaitc আমার সেনাপতি, @AITCofficial আমার…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 1, 2024
প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইলে এদিন থেকে আর দেখা যাচ্ছে না তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়, পদ। শুধু লেখা জার্নালিস্ট, সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট। তা নিয়েই জল্পনা চলছিল। এরইমধ্যে একটি পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা গিয়েছিল কুণালকে। লিখেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য, গ্রুপবাজ, স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ তাঁর ওই পোস্ট নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল।
নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, @AITCofficial দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 29, 2024
সূত্রের খবর, কলকাতার এক নেতার প্রতি রুষ্ঠ কুণাল। তাঁর ভূমিকায়, কাজে গলের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বলে ঘনিষ্ঠমহলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই অভিমানেই তিনি দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়েছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। সেই নেতাকে নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে এরইমধ্যে আবার খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। খানিক রসিকতার সুরেই বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, “অপেক্ষা করুন না। লোকসভা ভোট আসতে দিন, তারপর দেখবেন কতজনের কত কী উঠে যাবে।” আক্রমণ শানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও।