কলকাতা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের মাটি শক্ত করতে দিল্লি ছুটে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে রাজ্য-রাজনীতির ময়দানে। এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পটভূমিকায় ‘চাণক্যরূপী’ মমতাকে নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Leader of opposition Suvendu adhikari)। তারপরেই পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপান-উতর।
শুভেন্দুর বক্তব্যের পরেই এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি৷ শুভেন্দু আগে গিয়ে ওর বাবাকে জিজ্ঞাসা করুক। ওর বাবা একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে এই জাতীয় নেত্রীর দয়ায়। সব দল তাতে সামিল হয়েছে। যারা আসেনি তারা ভোট দেবেন না এটা কে বলল? এই তো বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে কি হল। ভোটে তো হেরে গেল। মমতা বন্দোপাধ্যায় জাতীয় নেত্রী। শুভেন্দু অধিকারী তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে না পেরে বাবার শপথে থাকেনি। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বাবার নাম কেটে দিতে বলেছিল”। প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে একদা মমতার সেকেন্ড ইন কমান্ড শুভেন্দুই নন্দীগ্রামে লড়েন মমতার বিরুদ্ধে। এমনকী হারও স্বীকার করতে হয়েছিল মমতাকে। বর্তমানে রাজ্যে মমতা বিরোধী মুখের মধ্যে শুভেন্দুই রয়েছেন শীর্ষস্থানে।
এদিনই দিল্লিতে মমতার বৈঠক সম্পর্কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষবান শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “চূড়ান্ত ব্যর্থ হবে। ২০১৯ একই চেষ্টা করেছিলেন। কেউ মুখ ফিরে তাকাননি। দিল্লির নেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ওনার অনেক দিনের। কিন্তু সেই বাসনা কোনওদিন পূরণ হবে না”। এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, “বিজেপির এতো গা জ্বলছে কেন? সিবিআইয়ের লিস্টে তো শুভেন্দুর নাম আছে। ওতো সেটা থেকে বাঁচতে গেছে বিজেপিতে”। কুণালের এই পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতার ডাকে রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। তবে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে। তবে বিরোধী শিবির থেকে কাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান মুখ করা হবে তা নিয়ে এখনও বজায় রয়েছে ধোঁয়াশা।