অভিনেত্রী সায়নীকে ‘টাইপ’ বলে কটাক্ষ প্রাক্তন রাজ্যপালের, টুইটে জোর তরজা

তথাগত-সায়নীর একের পর এক টুইটে তা রীতিমতো কুটকচালির রূপ নেয়। একই সঙ্গে ফের মহিলাদের কুরুচিকর কটাক্ষের অভিযোগও ওঠে তথাগতর বিরুদ্ধে।

অভিনেত্রী সায়নীকে 'টাইপ' বলে কটাক্ষ প্রাক্তন রাজ্যপালের, টুইটে জোর তরজা
অভিনেত্রী সায়নীকে 'টাইপ' বলে কটাক্ষ প্রাক্তন রাজ্যপালের, টুইটে জোর তরজা
Follow Us:
| Updated on: Jan 15, 2021 | 11:50 PM

কলকাতা: এবার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে। টুইটারে বেশ অ্যাকটিভ মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক টুইট করে সায়নীকে বিদ্ধ করেন। পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি অভিনেত্রীও। কিন্তু একটি টুইটে সেই বিতর্ক থেকে যায়নি। তথাগত-সায়নীর একের পর এক টুইটে তা রীতিমতো কুটকচালির রূপ নেয়। একই সঙ্গে ফের মহিলাদের কুরুচিকর কটাক্ষের অভিযোগও ওঠে তথাগতর বিরুদ্ধে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি টেলিভিশন শোয়ের বিতর্কের অনুষ্ঠান থেকে। সেখানে অংশ নিয়ে সায়নী বাঙালি সংস্কৃতির প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, যেভাবে একদল যুবক বাইকে চেপে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ভগবানের নাম নিয়ে জয় শ্রী রাম বলে রাজনীতি করে এবং দৌড়ে বেড়ায়, তা কখন বাঙালি সংস্কৃতি নয়। এবং বাঙালিরা এমন উগ্র আচরণ পছন্দ করেন না। যদি ভগবানের নাম নিতে হয় তবে ভালবেসে নেওয়া উচিত। মোটের উপর এই ছিল সায়নীর বক্তব্য।

যদিও, অভিনেত্রীর এই মন্তব্য পছন্দ হয়নি তথাগতবাবুর। তিনি এই ইস্যুকে সাম্প্রদায়িক আঙ্গিক দেওয়ার চেষ্টা করে একটি টুইট করেন। একই সঙ্গে সায়নীকে আক্রমণ করে লেখেন, “এই টাইপটাকে দেখেই কথায় বলে ‘মূর্খের অশেষ দোষ’। তবে এই মূর্খামির দায় শুধু সায়নীর নয়। পশ্চিমবাংলার বাম ও সেকুলারপন্থীরা এদের শিখিয়েছে ‘ছি! এসব বলতে নেই। করুক না ওরা কিছু হিন্দু খুন ও মেয়েদের ধর্ষণ! হোক না সোওয়া কোটি হিন্দু গৃহহীন পথের ভিখারি! ওরাও তো মানুষ।”

এই টুইটের পাল্টা জবাব হিসেবে সায়নী লেখেন, “টাইপ গোছের কথাটা বলে নিজের মানসিক ও সামাজিক সংকীর্ণতার পরিচয় দিলেন। আপনার মতো ‘জিনিস’ সত্যি পশ্চিম বাংলার মানুষের কাম্য নয়।” এর পরও এই কথা কাটাকাটি থেমে যায়নি। বেশ কয়েকটি টুইট চালাচালি হয় দু’জনের মধ্যে। শেষে তথাগতকে আবার লিখতে দেখা যায়, “এই লালবাবাদের সম্বন্ধে মুখ খারাপ করতে নেই। লেনিনের নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াত ও সিফিলিসে মৃত্যু আমি ফাঁস করে দিয়েছিলাম বলে আমার উপরে এদের জাতক্রোধ আছে। করুণা ছাড়া এদেরকে কিছু করার নেই।”

মনে রাখতে হবে, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তথাগতবাবু দু’টি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালও বটে। তাঁর মতো প্রাক্তন সাংবিধানিক ব্যক্তিত্ব এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করে কি কোথাও নিজের গ্রহণযোগ্যতার উপরই সওয়াল তুলে দিচ্ছেন না! প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন নেটিজেনরাও।